তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

- আপডেট সময় : ০২:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকায় তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস এবং ডিম ও ছানা হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান অভিযুক্ত মোবারক ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার (২৯ জুন) বিকেলে তাকে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুয়াটন গ্রামের মোবারক আলী ফকিরের মালিকানাধীন জমির পাশের একটি সরকারি রাস্তার ধারে থাকা তালগাছটি দীর্ঘদিন ধরে বাবুই পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রতিটি মৌসুমে গাছটিতে অসংখ্য বাবুই পাখি বাসা বাঁধত, ডিম দিত এবং ছানা জন্ম নিত।
মোবারক ফকির গাছটি মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করলে সেটি কেটে ফেলা হয়। এতে গাছের ওপর থাকা শতাধিক বাবুই পাখির বাসা, ডিম এবং ছানা ধ্বংস হয়ে যায়। প্রাণঘাতী এই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও শোকের জন্ম দেয়।
স্থানীয়রা জানান, তালগাছটি শুধু একটি গাছ নয়, এটি ছিল একটি জীববৈচিত্র্যের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। যারা এটি ধ্বংস করেছে, তারা প্রকৃতির বিরুদ্ধে চরম অপরাধ করেছে। তারা আরও বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি গাছ কাটার ঘটনা নয়, এটি একটি পরিবেশগত হত্যাকাণ্ড।
সচেতন মহল ও পরিবেশবাদীরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পরিবেশ আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে বন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাবুই পাখি বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত ও পরিবেশবান্ধব পাখি। এরা তাদের বৈচিত্র্যময় বাসা তৈরির দক্ষতা এবং সম্মিলিত জীবনধারা দিয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এদের ধ্বংস করা শুধু একটি প্রজাতিকে বিপন্ন করে না, বরং পুরো বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যকেই হুমকির মুখে ফেলে।