টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হচ্ছে কয়েক জেলা, চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

- আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫ ৮৮ বার পড়া হয়েছে
টানা বর্ষণের ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্লাবন পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। শেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাজারো মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
শেরপুরে টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। ঝিনাইগাতি উপজেলার কালীনগর পাগলারমুখ এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। কাঁচা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা—পানির কারণে ধান শুকাতে পারছেন না তারা। এদিকে, উজানের পানি বাড়তে থাকায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়ও থেমে নেই বৃষ্টি। দক্ষিণ ইউনিয়ন, মোগড়া ইউনিয়নসহ অন্তত তিনটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল এখনো পানির নিচে। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন হাজারো মানুষ। প্লাবিত হয়েছে ফসলের ক্ষেত, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। স্থানীয়দের আশঙ্কা, বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত থাকলে হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, টানা বর্ষণে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড় ধসের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে জেলা প্রশাসন খুলে দিয়েছে ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। অনেকেই রাত্রিযাপন করেছেন সেখানে। যদিও রাঙামাটিতে ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে, যান চলাচল এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।
বান্দরবানেও টানা পাঁচদিনের বৃষ্টিপাতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। বিশেষ করে নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও আলীকদম এলাকার কিছু নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার কারণে ব্যাহত হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে পাহাড়ি এলাকা ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।