যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশ: জাতিসংঘের সতর্কতা

- আপডেট সময় : ০২:৪৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫ ২৮ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন আমদানি শুল্ক নীতির প্রভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাণিজ্য ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এতে বাংলাদেশের মতো রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতিগুলো চরম চাপের মুখে পড়বে বলে প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।
গত ২২ মে প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন ‘Sparing the Vulnerable: The Cost of New Tariff Burdens’-এ বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির মাত্র ০.৩ শতাংশের জন্য দায়ী হলেও বাংলাদেশসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশকে নতুন শুল্কনীতির ভার বহন করতে হচ্ছে। এতে মার্কিন বাজারে এসব দেশের প্রবেশ ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক ও কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে আমদানি পণ্যে ১০ শতাংশ সাধারণ শুল্ক আরোপ করা হলেও, চলতি বছরের জুলাই থেকে দেশভিত্তিক অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাংলাদেশের জন্য শুল্কহার বাড়তে বাড়তে সর্বোচ্চ ৪৪ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এই হার কার্যকর হলে রপ্তানি ব্যয় বেড়ে গিয়ে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে।
যদিও ৯০ দিনের একটি সাময়িক স্থগিতাদেশের সুযোগ রয়েছে, জাতিসংঘের মতে এটি দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি এড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য শুল্ক ছাড় এবং ন্যায্য বাণিজ্য নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি। তা না হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন বৈষম্যের সৃষ্টি হতে পারে, যা বৈশ্বিক উন্নয়নের গতিকে ব্যাহত করবে।
এ পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আসন্ন বাজেটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত ১০০টি পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড়ের পরিকল্পনা করছে, যাতে করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার হয় এবং বাংলাদেশের পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ে।