সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

চট্টগ্রামে ট্রাফিক পুলিশের হেফাজতে তরুণীর আত্মহত্যা!

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫ ৩১ বার পড়া হয়েছে

নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন, অভিযোগ মানসিক নির্যাতনের

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের একটি থানায় ট্রাফিক পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় এক তরুণীর আত্মহত্যার ঘটনা জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ উঠেছে, হেফাজতে থাকাকালে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ওই তরুণী।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১২ জুলাই) রাতে। পুলিশ সূত্র জানায়, কোন একটি মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কারণে তরুণীকে থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে ট্রাফিক পুলিশের হেফাজতে থাকাকালে তিনি হঠাৎ করেই বিষপান করেন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা ও হেফাজতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন,

“পুলিশি হেফাজতে থাকাকালে কীভাবে বিষ খাওয়ার মতো জিনিস সঙ্গে রাখলেন ওই তরুণী?”
“নাকি বিষ সরবরাহ করা হয়েছিল, না হয় আগেই আনা হয়েছিল—পুলিশ তা জানলো না কেন?”

তরুণীর পরিবার দাবি করছে, থানায় নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তাকে মানসিকভাবে চাপে রাখা হচ্ছিল। একপর্যায়ে অতিরিক্ত মানসিক নির্যাতনের কারণেই সে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।

তরুণীর ভাই বলেন,

“ওর বিরুদ্ধে কোনো বড় অভিযোগ ছিল না। অথচ পুলিশ এমনভাবে চেপে ধরেছিল, ও সহ্য করতে পারেনি।”

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) একটি প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন,

“হেফাজতে থাকা একজন মানুষ আত্মহত্যা করলে এর দায় পুরোপুরি সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিতে হবে। এ ধরনের ঘটনা পুলিশের পেশাদারিত্ব ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার প্রশ্ন তোলে।”

ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রামে ট্রাফিক পুলিশের হেফাজতে তরুণীর আত্মহত্যা!

আপডেট সময় : ০৪:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন, অভিযোগ মানসিক নির্যাতনের

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের একটি থানায় ট্রাফিক পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় এক তরুণীর আত্মহত্যার ঘটনা জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ উঠেছে, হেফাজতে থাকাকালে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ওই তরুণী।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১২ জুলাই) রাতে। পুলিশ সূত্র জানায়, কোন একটি মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কারণে তরুণীকে থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে ট্রাফিক পুলিশের হেফাজতে থাকাকালে তিনি হঠাৎ করেই বিষপান করেন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা ও হেফাজতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন,

“পুলিশি হেফাজতে থাকাকালে কীভাবে বিষ খাওয়ার মতো জিনিস সঙ্গে রাখলেন ওই তরুণী?”
“নাকি বিষ সরবরাহ করা হয়েছিল, না হয় আগেই আনা হয়েছিল—পুলিশ তা জানলো না কেন?”

তরুণীর পরিবার দাবি করছে, থানায় নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তাকে মানসিকভাবে চাপে রাখা হচ্ছিল। একপর্যায়ে অতিরিক্ত মানসিক নির্যাতনের কারণেই সে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।

তরুণীর ভাই বলেন,

“ওর বিরুদ্ধে কোনো বড় অভিযোগ ছিল না। অথচ পুলিশ এমনভাবে চেপে ধরেছিল, ও সহ্য করতে পারেনি।”

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) একটি প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন,

“হেফাজতে থাকা একজন মানুষ আত্মহত্যা করলে এর দায় পুরোপুরি সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিতে হবে। এ ধরনের ঘটনা পুলিশের পেশাদারিত্ব ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার প্রশ্ন তোলে।”

ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।