যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধে ২০৩০ সালের মধ্যে ঝুঁকিতে ১ কোটি ৪০ লাখ প্রাণ: দ্য ল্যানসেট

- আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্তের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে অন্তত ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে পারে। সোমবার (৩০ জুন) প্রকাশিত প্রভাবশালী চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেট-এর এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউএসএআইডি (USAID)–এর আওতায় বৈদেশিক সহায়তা পুরোপুরি বাতিল করে, তবে পরবর্তী কয়েক বছরে এই সহায়তা-নির্ভর দেশগুলোতে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হবে। ঝুঁকিতে থাকা মৃত্যুর এক-তৃতীয়াংশই শিশু—যারা অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনায় রয়েছে।
বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ-এর গবেষক ও প্রতিবেদনের সহলেখক ডেভিড রাসেলা বলেন,
“এই ধাক্কাটি অনেক দেশের জন্য এক প্রকার বৈশ্বিক মহামারি বা বড় ধরনের যুদ্ধের মতোই ভয়াবহ হবে।”
প্রতিবেদনটি এমন সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন স্পেনের সেভিলে জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি দশকব্যাপী বড় সহায়তা সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে বিশ্বের বহু নেতা অংশ নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তার প্রশাসন ইউএসএআইডি’র বাজেটে ব্যাপক কাটছাঁট করে। প্রশাসনের ভাষ্য ছিল, ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে দ্য ল্যানসেট জানায়, ইউএসএআইডি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে, বিশেষ করে আফ্রিকার দেশসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
গবেষণায় বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ইউএসএআইডি’র সহায়তায় পরিচালিত কর্মসূচিগুলো ৯ কোটি ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু রোধে সহায়তা করেছে, যার মধ্যে ৩ কোটিরও বেশি শিশু ছিল।
গবেষকরা ১৩৩টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য উপস্থাপন করেছেন। এর আগে মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও জানিয়েছিলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ইউএসএআইডি’র ৮০ শতাংশের বেশি কর্মসূচি বাতিল করেছে।