শিশুশিল্পী থেকে বিতর্কিত অভিনেত্রী: হোটেল থেকে গ্রেপ্তারের অন্ধকার অধ্যায় কাটিয়ে ফের সাফল্যের পথে শ্বেতা বসু প্রসাদ

- আপডেট সময় : ১১:২৬:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে
শ্বেতা বসু প্রসাদ তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ২০০২ সালে ‘মকড়ি’ চলচ্চিত্রে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন, যা তার অভিনয় জীবনের এক উজ্জ্বল সূচনা ছিল। তবে সেই সাফল্য স্থায়ী হয়নি, বরং পরবর্তীতে একটি অন্ধকার সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাকে।
বছর ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট, হায়দরাবাদের বানজারা হিলসের একটি হোটেল থেকে দেহব্যবসার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন শ্বেতা বসু প্রসাদ। এই ঘটনায় ভারতীয় গণমাধ্যমে ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছিল, অর্থের বিনিময়ে তিনি যৌনকর্মে লিপ্ত ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
শ্বেতা এই ঘটনার পর মিডিয়ায় জানান, তাকে জোরপূর্বক এই কাজে ফাঁসানো হয়েছিল। তিনি নিজে দারিদ্র্যের কারণে এই পথ বেছে নেননি, বরং ভুল বোঝানো এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন। তবে তার কিছু মন্তব্য নিয়ে সামাজিক ও গণমাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। একবার তিনি প্রকাশ্যে জানান, শুধু নিজেই নয়, বলিউডের অনেক নামকরা নায়িকাকেও জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে, অনেকেই ক্যারিয়ার বাঁচাতে বাধ্য হয়ে এই পথ বেছে নেয়।
২০১৪ সালের শেষ দিকে, হায়দরাবাদের একটি নিম্ন আদালত তাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। আদালত উল্লেখ করে, অভিযোগ প্রমাণের কোনও যথেষ্ট ভিত্তি পাওয়া যায়নি।
অসফলতার এই অধ্যায় কাটিয়ে শ্বেতা বসু প্রসাদ আবারও সেলুলয়েড ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় হন। ২০১৯ সালের ‘দ্য তাশখন্দ ফাইলস’, ২০২২ সালের ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-সহ জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস’-এর চতুর্থ সিজনে তিনি সেরা অভিনয় উপহার দিয়েছেন। বাংলা চলচ্চিত্র ‘এক নদীর গল্প’-এ মিঠুন চক্রবর্তী ও যিশু সেনগুপ্তের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করে নিজের অবস্থান মজবুত করেছেন।
শ্বেতা বসুর জীবনের এই ওঠাপড়া ও পুনর্জাগরণের গল্প আজও দর্শক ও শিল্প জগতের জন্য অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।