শালিক পরিবারের এক অনন্য সদস্যে পরিণত হওয়া এক বন্য পাখি

- আপডেট সময় : ০২:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে
আদিকাল থেকেই মানুষ বিভিন্ন প্রাণীকে পোষ মানিয়ে আসছে। বন্যপ্রাণীকে বশ মানিয়ে শখের বসে পোষা এই প্রবণতা আজও অব্যাহত রয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় আমাদের চারপাশে দেখা মেলে নানা ধরনের পোষা প্রাণীর, বিশেষ করে পাখির। শালিক তার মধ্যেই একটি উল্লেখযোগ্য নাম।
বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই শালিক পাখি দেখা যায়। গ্রামাঞ্চলে বেড়ে ওঠা মানুষদের জন্য শালিক খুবই পরিচিত একটি পাখি। শালিক পোষ মানাতে হলে একে শৈশবকাল থেকেই লালন-পালন করতে হয়। তখন সে মানুষের পরিবেশে বেড়ে ওঠে এবং তার বন্য স্বভাব ধীরে ধীরে লোপ পায়।
শহরের পাখির দোকানগুলোতেও শালিক পাওয়া যায়, তবে তা সাধারণত বেশ দামে বিক্রি হয়। বিপরীতে গ্রামে শালিক সংগ্রহ করা হয় সরাসরি প্রকৃতি থেকেই, যেমন—পাখির বাসা থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করে লালন-পালন করা হয়। গ্রামে শালিককে প্রাকৃতিক খাবারে বড় করা হয় বলে তারা তুলনামূলকভাবে বেশি সবল হয়।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি পোষা শালিক মানুষের মতো কথা বলার চেষ্টা করছে এবং নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে মানুষকে আনন্দ দিচ্ছে। শুধু শালিকই নয়, টিয়া, ময়না, কাকাতুয়া প্রভৃতি পাখিরাও পোষ মানে এবং দীর্ঘ সময় মানুষের সংস্পর্শে থাকলে তারা মানুষের ভাষা ও আচরণ অনুকরণ করতে সক্ষম হয়।
বিশ্বব্যাপী পোষা প্রাণীর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, যার প্রভাব পড়েছে মূল্যেও। আমাদের দেশের তুলনায় বহির্বিশ্বে এসব প্রাণীর চাহিদা ও দাম অনেক বেশি। তবে আমাদের দেশে শালিক সহজলভ্য এবং এর পেছনে খরচও তুলনামূলক কম। এটি সহজে যেকোনো সাধারণ খাবারে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে, যদিও শুরুতে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করে ধীরে ধীরে নতুন খাবারে অভ্যস্ত করানো উচিত।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, শালিকটি ঘরের মধ্যে মুক্তভাবে চলাফেরা করছে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। তাকে মুক্ত করে দিলেও সে আবার ফিরে আসে ঘরে। এমন পোষ মানা শালিক এক সময় পরিবারের এক অনন্য সদস্যে পরিণত হয়।