সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

“রাশিয়ার সহযোগিতা চাই, তবে অন্য ইস্যুতে”— ট্রাম্প

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০১:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে


ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করে সহায়তার প্রস্তাব দেন। তবে ট্রাম্প তা বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করেন বলে জানিয়েছেন নিজেই।

ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন,

“আপনারা জানেন, পুতিন আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি জানতে চাইলেন—ইরান বিষয়ে কি তিনি কোনোভাবে সহায়তা করতে পারেন? আমি বললাম—না, ইরান নিয়ে আমার সহায়তার প্রয়োজন নেই। বরং আমি চাই, রাশিয়ার সঙ্গে আমরা একটা চুক্তিতে পৌঁছাই।”

ট্রাম্প আরও যোগ করেন, “আমি আশাবাদী—রাশিয়ার সঙ্গে একটি কার্যকর চুক্তি হবে। যদিও এই চেষ্টাই অনেকে হতাশার চোখে দেখছেন। গত সপ্তাহেই ছয় হাজার মার্কিন সেনা প্রাণ হারিয়েছে।”

ন্যাটো সম্মেলন ও ইউক্রেন ইস্যু

এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন নেদারল্যান্ডসের হেগে ২৪–২৫ জুন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন। সম্মেলনে ট্রাম্পের ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আরও বিস্তারিত কিছু না বললেও, পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে ইউক্রেনে। কারণ, ইউক্রেন ও পশ্চিমা মিত্রদের বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে কিয়েভে ফের হামলা শুরু করেছে রুশ বাহিনী।

রাশিয়া-ইরান ঘনিষ্ঠতা: পশ্চিমা শঙ্কা

রাশিয়া এবং ইরান বর্তমানে ঘনিষ্ঠ সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখছে। ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রিক আগ্রাসনের পর, মস্কোকে হাজার হাজার শাহেদ ড্রোন সরবরাহ করেছে তেহরান। এসব ড্রোন নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে হামলার জন্য।

এছাড়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া দুই দেশ পারমাণবিক কর্মসূচিতেও পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করেছে বলে জানা গেছে। এই সম্পর্ক ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মধ্যে।

বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে

বিশ্লেষকদের মতে, পুতিনের সহায়তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প কৌশলগতভাবে বোঝাতে চেয়েছেন যে, ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র স্বনির্ভর থাকতে চায়। তবে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির প্রসঙ্গ তুলে তিনি একদিকে যেমন সম্ভাব্য উত্তেজনা কমানোর বার্তা দিয়েছেন, অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে জটিলতা আরও বাড়তে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

“রাশিয়ার সহযোগিতা চাই, তবে অন্য ইস্যুতে”— ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০১:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫


ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করে সহায়তার প্রস্তাব দেন। তবে ট্রাম্প তা বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করেন বলে জানিয়েছেন নিজেই।

ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন,

“আপনারা জানেন, পুতিন আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি জানতে চাইলেন—ইরান বিষয়ে কি তিনি কোনোভাবে সহায়তা করতে পারেন? আমি বললাম—না, ইরান নিয়ে আমার সহায়তার প্রয়োজন নেই। বরং আমি চাই, রাশিয়ার সঙ্গে আমরা একটা চুক্তিতে পৌঁছাই।”

ট্রাম্প আরও যোগ করেন, “আমি আশাবাদী—রাশিয়ার সঙ্গে একটি কার্যকর চুক্তি হবে। যদিও এই চেষ্টাই অনেকে হতাশার চোখে দেখছেন। গত সপ্তাহেই ছয় হাজার মার্কিন সেনা প্রাণ হারিয়েছে।”

ন্যাটো সম্মেলন ও ইউক্রেন ইস্যু

এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন নেদারল্যান্ডসের হেগে ২৪–২৫ জুন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন। সম্মেলনে ট্রাম্পের ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আরও বিস্তারিত কিছু না বললেও, পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে ইউক্রেনে। কারণ, ইউক্রেন ও পশ্চিমা মিত্রদের বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে কিয়েভে ফের হামলা শুরু করেছে রুশ বাহিনী।

রাশিয়া-ইরান ঘনিষ্ঠতা: পশ্চিমা শঙ্কা

রাশিয়া এবং ইরান বর্তমানে ঘনিষ্ঠ সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখছে। ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রিক আগ্রাসনের পর, মস্কোকে হাজার হাজার শাহেদ ড্রোন সরবরাহ করেছে তেহরান। এসব ড্রোন নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে হামলার জন্য।

এছাড়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া দুই দেশ পারমাণবিক কর্মসূচিতেও পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করেছে বলে জানা গেছে। এই সম্পর্ক ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মধ্যে।

বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে

বিশ্লেষকদের মতে, পুতিনের সহায়তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প কৌশলগতভাবে বোঝাতে চেয়েছেন যে, ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র স্বনির্ভর থাকতে চায়। তবে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির প্রসঙ্গ তুলে তিনি একদিকে যেমন সম্ভাব্য উত্তেজনা কমানোর বার্তা দিয়েছেন, অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে জটিলতা আরও বাড়তে পারে।