সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

‘বাবাকে কি আর কোনোদিন জড়িয়ে ধরতে পারব না?’—মেয়ের কান্নায় বিহ্বল জনগণ

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০৫:৪১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে

বংশাল থানা ছাত্রদলের নেতা পারভেজ হোসেন ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে গুম হন। দীর্ঘ ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। সেই পারভেজ হোসেনের কিশোরী কন্যা আদিবা ইসলাম হৃদি মঙ্গলবার (১ জুলাই) যখন আবেগভরা কণ্ঠে প্রশ্ন করলেন—“আমি আর আমার ভাই বাবাকে কি আর কোনোদিন জড়িয়ে ধরতে পারব না?”—তখন স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো সম্মেলন কেন্দ্র। ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ পরিবারদের সম্মানে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় এ হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।

আদিবা হৃদির আবেগঘন বক্তব্য চলাকালীন জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা যায়—তারেক রহমান বারবার চশমার আড়াল দিয়ে চোখ মুছছেন। তিনি সরাসরি কিছু করতে না পারলেও চোখের অশ্রু দিয়ে যেন ভাগ করে নিচ্ছিলেন হারানো বাবার জন্য মেয়ের কষ্ট।

অনুষ্ঠানে শুধু হৃদি নয়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত নির্যাতিত পরিবারগুলোর সদস্যরাও তাদের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেন। কেউ বললেন সন্তান হারানোর বেদনার কথা, কেউ জানালেন আর্থিক অনিশ্চয়তা আর ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তার গল্প।

জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ চট্টগ্রামের ওয়াসিম আকরামের বাবা শুধু নিজের সন্তানের বেদনা নয়, তুলে ধরেন অন্য শহীদ পরিবারের দীর্ঘশ্বাসও। তিনি রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানান—নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হোক এবং শহীদ পরিবারের প্রতি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করা হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

‘বাবাকে কি আর কোনোদিন জড়িয়ে ধরতে পারব না?’—মেয়ের কান্নায় বিহ্বল জনগণ

আপডেট সময় : ০৫:৪১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

বংশাল থানা ছাত্রদলের নেতা পারভেজ হোসেন ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে গুম হন। দীর্ঘ ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। সেই পারভেজ হোসেনের কিশোরী কন্যা আদিবা ইসলাম হৃদি মঙ্গলবার (১ জুলাই) যখন আবেগভরা কণ্ঠে প্রশ্ন করলেন—“আমি আর আমার ভাই বাবাকে কি আর কোনোদিন জড়িয়ে ধরতে পারব না?”—তখন স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো সম্মেলন কেন্দ্র। ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ পরিবারদের সম্মানে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় এ হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।

আদিবা হৃদির আবেগঘন বক্তব্য চলাকালীন জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা যায়—তারেক রহমান বারবার চশমার আড়াল দিয়ে চোখ মুছছেন। তিনি সরাসরি কিছু করতে না পারলেও চোখের অশ্রু দিয়ে যেন ভাগ করে নিচ্ছিলেন হারানো বাবার জন্য মেয়ের কষ্ট।

অনুষ্ঠানে শুধু হৃদি নয়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত নির্যাতিত পরিবারগুলোর সদস্যরাও তাদের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেন। কেউ বললেন সন্তান হারানোর বেদনার কথা, কেউ জানালেন আর্থিক অনিশ্চয়তা আর ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তার গল্প।

জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ চট্টগ্রামের ওয়াসিম আকরামের বাবা শুধু নিজের সন্তানের বেদনা নয়, তুলে ধরেন অন্য শহীদ পরিবারের দীর্ঘশ্বাসও। তিনি রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানান—নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হোক এবং শহীদ পরিবারের প্রতি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করা হোক।