নরসিংদীতে নারী যাত্রীকে ধর্ষণ: মোটরসাইকেল চালকের স্বীকারোক্তি আদালতে

- আপডেট সময় : ০৮:৫৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
নরসিংদীতে রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চালকের বিরুদ্ধে নারী যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি শাহপরানকে গ্রেফতার করেছে পলাশ থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করা হলে, রোববার (১ জুন) তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গ্রেফতারকৃত শাহপরান (৩০) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার তারানগর বটতলী (দক্ষিণ পাড়া) এলাকার বাসিন্দা এবং আব্দুল আলীর ছেলে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসার জন্য ২৮ মে বিকেলে মিরপুর-১২ নম্বর এলাকা থেকে একটি রাইড শেয়ার মোটরসাইকেলে শ্যামলীর উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু রাত সোয়া ৯টার দিকে চালক তাকে শ্যামলীর পরিবর্তে নিয়ে যায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভাস্থ পাঁচদোনা-টঙ্গী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে একটি নির্জন কালভার্ট এলাকায়। সেখানে ওই নারীকে ধর্ষণের পাশাপাশি তার সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় চালক। এ সময় হত্যার হুমকি দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে তার স্বজনদের কাছ থেকেও অর্থ আদায় করে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পলাশ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরদিন, ২৯ মে, ওই নারী বাদী হয়ে ধর্ষক শাহপরানকে প্রধান আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরপরই নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানের নির্দেশে আসামিদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও অন্যান্য ইউনিট। অবশেষে, শনিবার (৩১ মে) দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে পলায়নরত অবস্থায় শাহপরানকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রোববার আদালতে হাজির করা হলে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।