দুই বছর পর বৈদেশিক রিজার্ভে বড় উল্লম্ফন, ছাড়িয়েছে ২৪ বিলিয়ন ডলার

- আপডেট সময় : ০১:৫৭:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ দুই বছর পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বড় অগ্রগতি দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাবপ্রণালী বিপিএম৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে—যা ২০২৩ সালের জুনের পর সর্বোচ্চ।
বিশ্লেষকদের মতে, রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রবণতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ঋণ সহায়তা এই প্রবৃদ্ধির পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।
বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি হিসেবে ১.৩৪ বিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তার আওতায় ৫০ কোটি ডলারের মধ্যে অবশিষ্ট ১৫ কোটি ডলার দেশে এসেছে। এর আগের দিন বিশ্বব্যাংক থেকে আরও ৩৫ কোটি ডলার জমা হয়। এসব অর্থ মিলে একদিনে রিজার্ভ বেড়ে ২২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার থেকে সরাসরি ২৪ বিলিয়নের ঘর পেরিয়ে যায়।
এদিকে গ্রস হিসাব অনুযায়ী দেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারে। আগামী সপ্তাহে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এবং এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে আরও ঋণ আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা রিজার্ভ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখবে।
জানা গেছে, জাইকা অনুমোদিত প্রায় ৪২ কোটি ডলার রোববার এবং এআইআইবি’র ৪৪ কোটি ডলার সোমবার রিজার্ভে যুক্ত হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি জুন মাসের মধ্যেই গ্রস রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে, এবং বিপিএম৬ হিসাবেও তা ২৫ বিলিয়নের ওপরে উঠবে।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে ক্রমান্বয়ে বেড়ে বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ২০২১ সালের আগস্টে, তখন তা ছিল প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ডলার।
এই অগ্রগতি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি স্বস্তিদায়ক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের আমদানি সক্ষমতা ও মুদ্রানীতি ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।