সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

টেকনাফের পাহাড়ে র‌্যাব-বিজিবির যৌথ অভিযান: অস্ত্র, গুলি ও গ্রেনেড উদ্ধার

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী এলাকার গহিন পাহাড়ে ডাকাত দলের আস্তানায় র‌্যাব ও বিজিবির যৌথ অভিযানে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চার ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান পরিচালিত হয়।

বুধবার (৩০ জুলাই) অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

অভিযান ও উদ্ধারকৃত অস্ত্র

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী গলাচিরা পাহাড়ে চারজনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল অস্থায়ীভাবে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার বিজিবি ও র‌্যাবের দুটি বিশেষ টহল দল পাহাড়টি ঘিরে ফেলে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা দূর থেকে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী তাদের ফেলে যাওয়া আস্তানা থেকে নিচের অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করে:

১টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র (UGI)

২টি একনলা গাদা বন্দুক (লং ব্যারেল)

৪টি আর্জেস হ্যান্ড গ্রেনেড (ফিউজসহ সম্পূর্ণ)

১০ রাউন্ড তাজা গুলি

ডাকাত দলের অপরাধের ইতিহাস

লে. কর্নেল জসীম উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সশস্ত্র দলটি মাদক চোরাচালান, অপহরণ, গুম, চাঁদাবাজি ও খুনসহ বিভিন্ন অপরাধে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল।

তিনি বলেন, “যৌথ অভিযানের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

পরবর্তী ব্যবস্থা

উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গুলি ও গ্রেনেড টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে। বিশেষজ্ঞ দলের মাধ্যমে গ্রেনেডগুলো ধ্বংস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টেকনাফের পাহাড়ে র‌্যাব-বিজিবির যৌথ অভিযান: অস্ত্র, গুলি ও গ্রেনেড উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী এলাকার গহিন পাহাড়ে ডাকাত দলের আস্তানায় র‌্যাব ও বিজিবির যৌথ অভিযানে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চার ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান পরিচালিত হয়।

বুধবার (৩০ জুলাই) অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

অভিযান ও উদ্ধারকৃত অস্ত্র

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী গলাচিরা পাহাড়ে চারজনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল অস্থায়ীভাবে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার বিজিবি ও র‌্যাবের দুটি বিশেষ টহল দল পাহাড়টি ঘিরে ফেলে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা দূর থেকে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী তাদের ফেলে যাওয়া আস্তানা থেকে নিচের অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করে:

১টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র (UGI)

২টি একনলা গাদা বন্দুক (লং ব্যারেল)

৪টি আর্জেস হ্যান্ড গ্রেনেড (ফিউজসহ সম্পূর্ণ)

১০ রাউন্ড তাজা গুলি

ডাকাত দলের অপরাধের ইতিহাস

লে. কর্নেল জসীম উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সশস্ত্র দলটি মাদক চোরাচালান, অপহরণ, গুম, চাঁদাবাজি ও খুনসহ বিভিন্ন অপরাধে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল।

তিনি বলেন, “যৌথ অভিযানের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

পরবর্তী ব্যবস্থা

উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গুলি ও গ্রেনেড টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে। বিশেষজ্ঞ দলের মাধ্যমে গ্রেনেডগুলো ধ্বংস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।