খুলনায় হোটেল থেকে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার: মদের বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর আশঙ্কা, ১ জন লাইফ সাপোর্টে

- আপডেট সময় : ১০:২৪:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে
খুলনা মহানগরীর পূজাখোলা এলাকায় একটি হোটেল থেকে একসঙ্গে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিষাক্ত মদপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় আরও একজন খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।
শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় মহানগরীর পূজাখোলা এলাকার তোতা মিয়ার মালিকানাধীন একটি হোটেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন:
বাবু (৫০), পিতা: আব্দুর রব, ঠিকানা: বয়রা সেরের বাজার মোড়
সাহাবুদ্দিন সাবু (৬০), পিতা: আব্দুস সামাদ, ঠিকানা: বয়রা মধ্যপাড়া
গৌতম কুমার বিশ্বাস (৪৭), ঠিকানা: বয়রা জংশন রোড
আজিবর (৫৯)
তোতা মিয়া (৬০), হোটেল মালিক
এছাড়াও খালিশপুর দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা সনু নামের একজন মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে দ্রুত খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অপারেশন অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হাই জানান, শনিবার দুপুরের পর হোটেলে থাকা ওই ব্যক্তিরা হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদের মরদেহ পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে নিয়ে যান।
এসআই আরও বলেন, “বিষয়টি জানার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিষাক্ত মদ বা অন্য কোনো রাসায়নিক দ্রব্যের কারণে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।”
এদিকে একসঙ্গে পাঁচজনের মৃত্যু ও একজনের লাইফ সাপোর্টে থাকার খবর ছড়িয়ে পড়লে নগরবাসীর মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। এ ঘটনায় মদের উৎস ও সরবরাহ চক্র খুঁজে বের করতে পুলিশের একাধিক দল তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হোটেল মালিক তোতা মিয়াসহ অন্যান্যদের মৃত্যু ও সনুর অসুস্থতা একই উৎস থেকে আসা মদ সংক্রান্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।