পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের পর ড্রোনশিল্পে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে ভারত

- আপডেট সময় : ০৩:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে
ভারত সরকার দেশীয় ড্রোনশিল্পকে চাঙ্গা করতে ২৩ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের (প্রায় ২ হাজার কোটি রুপি) উৎসাহ ভাতা কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে। মূলত ড্রোন আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো এবং চীন ও তুরস্ক–সমর্থিত পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান ড্রোন কর্মসূচির জবাব দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সরকারি দুই কর্মকর্তা এবং শিল্পসংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, আগামী তিন বছরে সামরিক-বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রের ড্রোন, যন্ত্রাংশ, সফটওয়্যার, প্রতিরক্ষা-ড্রোন ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সেবাখাতে এই ইনসেনটিভ প্রদান করা হবে।
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষের পরপরই উদ্যোগ
বিশ্লেষকদের মতে, গত মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে চার দিনের সীমান্ত সংঘর্ষে প্রথমবারের মতো উভয় দেশ ড্রোন ব্যবহার করায় ভারত সরকারের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। ওই সংঘর্ষে কামিকাজে ড্রোন ও লোটারিং মিউনিশনের ব্যবহার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
ভারতের প্রতিরক্ষাসচিব রাজেশ কুমার সিং বলেন,
“এই অভিজ্ঞতা আমাদের শিখিয়েছে, দেশীয় প্রযুক্তির ওপর জোর না দিলে টিকে থাকা যাবে না। তাই এখন আমাদের লক্ষ্য একটি শক্তিশালী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ সামরিক ড্রোন উৎপাদনব্যবস্থা গড়ে তোলা।”
পুরোনো পিএলআই স্কিমকে ছাড়িয়ে গেছে নতুন বাজেট
২০২১ সালে চালু হওয়া ১২০ কোটি রুপির প্রোডাকশন-লিংকড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিমের তুলনায় নতুন এই প্রকল্পের বাজেট প্রায় ১৭ গুণ বেশি। আগের কর্মসূচি মূলত উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য চালু হলেও, পুঁজি ও গবেষণায় বিনিয়োগে তা কাঙ্ক্ষিত ফল দিতে পারেনি।
নতুন কর্মসূচির আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (SIDBI) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে স্বল্প সুদে ঋণ দেবে বলেও জানা গেছে।
ঘরোয়া উৎপাদনের লক্ষ্য ৪০ শতাংশ
এই ইনসেনটিভ স্কিমের লক্ষ্য ২০২৮ অর্থবছরের মধ্যে ড্রোন যন্ত্রাংশের অন্তত ৪০ শতাংশ দেশেই উৎপাদন করা। যদিও এখনও ইমেজিং সিস্টেম, মোটর ও সেন