সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ১১ বছরের শিশু ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াকিন হাম্মাদ

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের সর্বশেষ শিকার ১১ বছর বয়সী ইয়াকিন হাম্মাদ—যিনি গাজার সবচেয়ে কনিষ্ঠ ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার প্রাণপ্রিয় হাসি, মানবিক কাজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধের মাঝেও আশার আলো জ্বালিয়ে রাখার চেষ্টার জন্য পরিচিত এই শিশুটি উত্তর গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-বারাকা অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে নিহত হন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৩ মে) রাতে ওই এলাকায় তীব্র সংঘর্ষের সময় ইয়াকিন নিহত হন। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়াকিন ও তার বড় ভাই মোহাম্মদ হাম্মাদ যুদ্ধকবলিত ও বাস্তুচ্যুত পরিবারের মধ্যে নিয়মিত খাবার, পোশাক এবং খেলনা বিতরণ করতেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় ইয়াকিন গাজার শিশুদের জন্য এক প্রেরণার নাম হয়ে উঠেছিলেন। যুদ্ধের নৃশংস বাস্তবতার মধ্যেও তিনি শিশুদের জন্য আনন্দের খোঁজ করতেন। কখনো নাচ-গান, কখনো আইসক্রিম বিতরণ কিংবা প্রার্থনায় অংশ নিয়ে সবার মধ্যে সাহস ছড়িয়ে দিতেন। তিনি এক পোস্টে লিখেছিলেন, “আমি চেষ্টা করি অন্য বাচ্চাদের একটু আনন্দ দিতে, যাতে তারা যুদ্ধ ভুলে থাকতে পারে।”

ইয়াকিন ছিলেন গাজাভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন ‘ওয়েনা কালেকটিভ’-এর সক্রিয় সদস্য। সংগঠনটি যুদ্ধকবলিত এলাকায় মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকে। ভাই মোহাম্মদের সঙ্গে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে গিয়ে তিনি আশ্রয় নেয়া শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করতেন।

ইয়াকিনের মৃত্যু শুধু গাজার জন্য নয়, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরোধী মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসীদের জন্য এক গভীর ক্ষতি। তার ছোট্ট জীবন যুদ্ধের বিরুদ্ধে এক শান্তির বার্তা হয়ে থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ১১ বছরের শিশু ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াকিন হাম্মাদ

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের সর্বশেষ শিকার ১১ বছর বয়সী ইয়াকিন হাম্মাদ—যিনি গাজার সবচেয়ে কনিষ্ঠ ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার প্রাণপ্রিয় হাসি, মানবিক কাজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধের মাঝেও আশার আলো জ্বালিয়ে রাখার চেষ্টার জন্য পরিচিত এই শিশুটি উত্তর গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-বারাকা অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে নিহত হন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৩ মে) রাতে ওই এলাকায় তীব্র সংঘর্ষের সময় ইয়াকিন নিহত হন। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়াকিন ও তার বড় ভাই মোহাম্মদ হাম্মাদ যুদ্ধকবলিত ও বাস্তুচ্যুত পরিবারের মধ্যে নিয়মিত খাবার, পোশাক এবং খেলনা বিতরণ করতেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় ইয়াকিন গাজার শিশুদের জন্য এক প্রেরণার নাম হয়ে উঠেছিলেন। যুদ্ধের নৃশংস বাস্তবতার মধ্যেও তিনি শিশুদের জন্য আনন্দের খোঁজ করতেন। কখনো নাচ-গান, কখনো আইসক্রিম বিতরণ কিংবা প্রার্থনায় অংশ নিয়ে সবার মধ্যে সাহস ছড়িয়ে দিতেন। তিনি এক পোস্টে লিখেছিলেন, “আমি চেষ্টা করি অন্য বাচ্চাদের একটু আনন্দ দিতে, যাতে তারা যুদ্ধ ভুলে থাকতে পারে।”

ইয়াকিন ছিলেন গাজাভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন ‘ওয়েনা কালেকটিভ’-এর সক্রিয় সদস্য। সংগঠনটি যুদ্ধকবলিত এলাকায় মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকে। ভাই মোহাম্মদের সঙ্গে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে গিয়ে তিনি আশ্রয় নেয়া শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করতেন।

ইয়াকিনের মৃত্যু শুধু গাজার জন্য নয়, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরোধী মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসীদের জন্য এক গভীর ক্ষতি। তার ছোট্ট জীবন যুদ্ধের বিরুদ্ধে এক শান্তির বার্তা হয়ে থাকবে।