সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

মোংলা বন্দরে কার্গো জাহাজ ডুবির ৩৬ ঘণ্টা পার, উদ্ধার তৎপরতা অনিশ্চিত

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে

সংবাদ প্রতিবেদন:
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের ত্রি-মোহনায় ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই কার্গো জাহাজ ‘এমভি মিজান-১’ ডুবির ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও এখনো কোনো উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়নি। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাহাজ মালিক এবং আমদানিকারকরা।

শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় জাহাজটি মোংলা থেকে ঢাকার মেঘনা ব্রিজ সংলগ্ন হোলসিম সিমেন্ট ফ্যাক্টরির উদ্দেশ্যে ৯১৪ মেট্রিক টন ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে যাত্রা করছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা খালি লাইটার জাহাজ ‘এমভি কে আলম গুলশান-২’ এর সঙ্গে সংঘর্ষ হলে ‘এমভি মিজান-১’ এর তলা ফেটে মুহূর্তেই ডুবে যায়।

দুর্ঘটনার সময় জাহাজে থাকা ১০ জন নাবিক সাঁতরে বাঁচতে সক্ষম হলেও মালামাল, নগদ টাকা এবং অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা যায়নি। তারা বর্তমানে মোংলা বন্দরের একটি আবাসিক হোটেলে নিরাপদে অবস্থান করছেন।

জাহাজের মাস্টার মো. বেল্লাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গিয়েও প্রথমে তা গ্রহণ করা হয়নি। পরে দাকোপ থানায় জিডি করা হয়। তিনি বলেন, “জাহাজটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং মালামাল নদীতে ভেসে গেছে।”

মোংলা বন্দরের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, “হারবার বিভাগের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুই পক্ষকে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করার মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রোববার মালিকপক্ষকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন করার সময়সীমা দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে বন্দরের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

তিনি আরও জানান, “ডুবির কারণে প্রধান নৌ পথের চলাচলে কোনো সমস্যা হয়নি, কারণ জাহাজটি মূল চ্যানেল থেকে কিছুটা দূরে ডুবে গেছে।”

দু’টি জাহাজের মালিকপক্ষের মধ্যে আপস-মীমাংসার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেলেও এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা দ্রুত উদ্ধার ও ক্ষতি মোকাবেলায় তৎপরতা নেওয়ার দাবিতে জোর দিয়েছেন।

এদিকে, বিশাল আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও পরিবেশগত ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোংলা বন্দরে কার্গো জাহাজ ডুবির ৩৬ ঘণ্টা পার, উদ্ধার তৎপরতা অনিশ্চিত

আপডেট সময় : ০১:০৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

সংবাদ প্রতিবেদন:
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের ত্রি-মোহনায় ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই কার্গো জাহাজ ‘এমভি মিজান-১’ ডুবির ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও এখনো কোনো উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়নি। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাহাজ মালিক এবং আমদানিকারকরা।

শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় জাহাজটি মোংলা থেকে ঢাকার মেঘনা ব্রিজ সংলগ্ন হোলসিম সিমেন্ট ফ্যাক্টরির উদ্দেশ্যে ৯১৪ মেট্রিক টন ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে যাত্রা করছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা খালি লাইটার জাহাজ ‘এমভি কে আলম গুলশান-২’ এর সঙ্গে সংঘর্ষ হলে ‘এমভি মিজান-১’ এর তলা ফেটে মুহূর্তেই ডুবে যায়।

দুর্ঘটনার সময় জাহাজে থাকা ১০ জন নাবিক সাঁতরে বাঁচতে সক্ষম হলেও মালামাল, নগদ টাকা এবং অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা যায়নি। তারা বর্তমানে মোংলা বন্দরের একটি আবাসিক হোটেলে নিরাপদে অবস্থান করছেন।

জাহাজের মাস্টার মো. বেল্লাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গিয়েও প্রথমে তা গ্রহণ করা হয়নি। পরে দাকোপ থানায় জিডি করা হয়। তিনি বলেন, “জাহাজটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং মালামাল নদীতে ভেসে গেছে।”

মোংলা বন্দরের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, “হারবার বিভাগের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং দুই পক্ষকে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করার মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রোববার মালিকপক্ষকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন করার সময়সীমা দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে বন্দরের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

তিনি আরও জানান, “ডুবির কারণে প্রধান নৌ পথের চলাচলে কোনো সমস্যা হয়নি, কারণ জাহাজটি মূল চ্যানেল থেকে কিছুটা দূরে ডুবে গেছে।”

দু’টি জাহাজের মালিকপক্ষের মধ্যে আপস-মীমাংসার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেলেও এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা দ্রুত উদ্ধার ও ক্ষতি মোকাবেলায় তৎপরতা নেওয়ার দাবিতে জোর দিয়েছেন।

এদিকে, বিশাল আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও পরিবেশগত ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।