সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

“গাজায় যুদ্ধবিরতি শিগগিরই কার্যকর হতে পারে”—আশাবাদী ট্রাম্প

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে

গাজায় চলমান সংকটের মধ্যে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (২৭ জুন) হোয়াইট হাউসে কঙ্গো-রুয়ান্ডা শান্তি চুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর রয়টার্সের।

ট্রাম্প বলেন, “আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। আমরা সেখানে অনেক অর্থ ও খাদ্য পাঠাচ্ছি, কারণ সেখানে মানুষ মারা যাচ্ছে। যুদ্ধের সরাসরি পক্ষ না হলেও, মানবিক কারণে আমরা এই সংকটে জড়িয়েছি।”

তিনি আরও জানান, সহায়তা পৌঁছালেও কিছু অসাধু চক্র তা চুরি করে বিক্রি করছে। তবে এখন কিছুটা সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে। তার ভাষায়, “দুঃখজনকভাবে অন্য কোনো দেশ সাহায্যে এগিয়ে আসছে না। কেবল আমরাই সহযোগিতা করছি, কারণ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা আমাদের দায়িত্ব।”

এদিকে, মার্কিন এক সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের কৌশলবিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার আগামী সোমবার থেকে ওয়াশিংটন সফর শুরু করবেন। সফরে গাজা যুদ্ধবিরতি, ইরান প্রসঙ্গ এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সম্ভাব্য হোয়াইট হাউস সফর নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এরই মধ্যে, বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে নেতানিয়াহু বলেন, “ইরানের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ ইসরায়েলের জন্য শান্তির নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে—এ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত হবে না।”

গাজার পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ রয়ে গেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে গাজায় ৫৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলার ফলে সেখানে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, প্রায় পুরো জনগণ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতগুলোতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগও উত্থাপিত হয়েছে, যা ইসরায়েল বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

“গাজায় যুদ্ধবিরতি শিগগিরই কার্যকর হতে পারে”—আশাবাদী ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০১:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

গাজায় চলমান সংকটের মধ্যে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (২৭ জুন) হোয়াইট হাউসে কঙ্গো-রুয়ান্ডা শান্তি চুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর রয়টার্সের।

ট্রাম্প বলেন, “আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। আমরা সেখানে অনেক অর্থ ও খাদ্য পাঠাচ্ছি, কারণ সেখানে মানুষ মারা যাচ্ছে। যুদ্ধের সরাসরি পক্ষ না হলেও, মানবিক কারণে আমরা এই সংকটে জড়িয়েছি।”

তিনি আরও জানান, সহায়তা পৌঁছালেও কিছু অসাধু চক্র তা চুরি করে বিক্রি করছে। তবে এখন কিছুটা সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে। তার ভাষায়, “দুঃখজনকভাবে অন্য কোনো দেশ সাহায্যে এগিয়ে আসছে না। কেবল আমরাই সহযোগিতা করছি, কারণ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা আমাদের দায়িত্ব।”

এদিকে, মার্কিন এক সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের কৌশলবিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার আগামী সোমবার থেকে ওয়াশিংটন সফর শুরু করবেন। সফরে গাজা যুদ্ধবিরতি, ইরান প্রসঙ্গ এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সম্ভাব্য হোয়াইট হাউস সফর নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এরই মধ্যে, বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে নেতানিয়াহু বলেন, “ইরানের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ ইসরায়েলের জন্য শান্তির নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে—এ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত হবে না।”

গাজার পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ রয়ে গেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে গাজায় ৫৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলার ফলে সেখানে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, প্রায় পুরো জনগণ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতগুলোতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগও উত্থাপিত হয়েছে, যা ইসরায়েল বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।