ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা: ‘ধ্বংস নয়, সাময়িক ব্যাঘাত’

- আপডেট সময় : ০১:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়নি—এমনটাই উঠে এসেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়নে। বরং এই হামলা কর্মসূচিটিকে সর্বোচ্চ কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
(সূত্র: রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট)
এই তথ্য প্রকাশ পেল এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে এক ‘নড়বড়ে’ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
হামলা ও বাস্তবতা:
যুদ্ধবিরতির ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। হামলায় ব্যবহৃত হয় ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বাংকার-বুস্টার বোমা। ট্রাম্প দাবি করেন, এই বোমাগুলোর আঘাতে ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।
তবে বিষয়টি ঘিরে মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষণ ভিন্নচিত্র তুলে ধরে।
গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়,
“ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বা সেন্ট্রিফিউজের বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। স্থাপনাগুলোর মূল কাঠামো ভূগর্ভে থাকায় ক্ষয়ক্ষতি সীমিত। হামলায় প্রবেশপথ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হলেও মূলভবন ধসে পড়েনি।”
ক্ষতি কতটা?
গোয়েন্দা বিশ্লেষকদের মতে, হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির গতি হয়তো এক বা দুই মাসের জন্য থমকে গেছে, তবে তা ধ্বংস হয়নি।
একটি সূত্র জানায়, “পারমাণবিক গবেষণাগুলো গভীর ভূগর্ভে হওয়ায় এমন আক্রমণে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়া কঠিন।”
ইরানের অবস্থান
ইরান বহুদিন ধরেই দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক শক্তি উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়, সামরিক উদ্দেশ্যে নয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান
হামলার পর ট্রাম্প জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেন,
“আমাদের হামলায় ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।”
তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়ন এই দাবির সঙ্গে একমত নয়।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়,
“হামলার পরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেন্ট্রিফিউজ অক্ষত রয়েছে।”
সমাপ্তি
সর্বশেষ তথ্য বলছে, পারমাণবিক কর্মসূচিকে পিছিয়ে দেওয়া গেলেও এটি ধ্বংস হয়নি। ফলে ভবিষ্যতে এই ইস্যু আবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।