ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় নতুন মাত্রা: কতটা ভয়ংকর ইরানের ‘খাইবার-শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্র?

- আপডেট সময় : ০৫:২৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
বিস্তারিত প্রতিবেদন:
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হামলায় নিজেদের তৈরি ‘খাইবার-শেকান’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার কথা জানিয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। এই তথ্য সামনে আসতেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে আলোচনা—ইরানের এই মিসাইল আসলে কতটা শক্তিশালী?
‘খাইবার-শেকান’ মূলত ইরানের আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির একটি বড় উদাহরণ। এর প্রকৃত নাম ‘খোররামশহর-৪’। এটি দেশীয়ভাবে তৈরি খোররামশাহর ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের চতুর্থ প্রজন্মের সংস্করণ।
এই মিসাইলের পাল্লা প্রায় ২০০০ কিলোমিটার, এবং এটি প্রায় ১৫০০ কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম—যা ইরানের মধ্য-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম ভারী ও বিধ্বংসী অস্ত্র।
তরল জ্বালানিচালিত ‘খাইবার-শেকান’ উড্ডয়ন অবস্থায়ই নিয়ন্ত্রণযোগ্য। এর বিশেষত্ব হলো, এটি বায়ুমণ্ডলের বাইরেও ওয়ারহেডের গতিপথ ঠিক রাখতে পারে। এর ফলে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে একে প্রতিহত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
গতি ও ক্ষমতার দিক দিয়েও এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। মিসাইলটি বায়ুমণ্ডলের বাইরে চলাকালীন সর্বোচ্চ গতি ম্যাক ১৬—অর্থাৎ শব্দের গতির ১৬ গুণ। আর বায়ুমণ্ডলের ভেতরে গতি হয় প্রায় ম্যাক ৮। এরকম উচ্চ গতির কারণে প্রতিপক্ষের রাডার ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এর গতিপথ নির্ধারণ করতে হিমশিম খায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, খাইবার-শেকান ইরানের সামরিক সক্ষমতার একটি নতুন যুগের সূচক। বিশেষত, ইসরায়েলের মতো উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, আইআরজিসি প্রেস বিজ্ঞপ্তি।