সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

গ্রিনপিসের প্রতিবাদে ম্যাকরনের মোমের মূর্তি সরিয়ে রাশিয়ার দূতাবাসের সামনে রেখে দেওয়া

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের জলবায়ু নীতির দুর্বলতা এবং রাশিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রতিবাদে অভিনব কর্মসূচি নিয়েছে গ্রিনপিস। সোমবার (৩ জুন) তিনজন গ্রিনপিস কর্মী প্যারিসের বিখ্যাত গ্রেভিন মিউজিয়াম থেকে ম্যাকরনের একটি মোমের মূর্তি সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রাশিয়ার দূতাবাসের সামনে রেখে দেন।

এই প্রতিবাদ সম্পর্কে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গ্রিনপিসের বিবৃতিতে বলা হয়, “রাশিয়ার সঙ্গে সব ধরনের চুক্তি বাতিল না করা এবং ইউরোপব্যাপী সাহসী পরিবেশগত রূপান্তর নিশ্চিত না করা পর্যন্ত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধিত্বের যোগ্য নন।”

গ্রিনপিসের এক মুখপাত্র জানান, অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মীরা সাধারণ দর্শনার্থীর ছদ্মবেশে মিউজিয়ামে প্রবেশ করেন এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুত ম্যাকরনের মূর্তি সরিয়ে নেন। মিউজিয়ামের বাইরে একটি গাড়িতে অপেক্ষায় থাকা অন্য কর্মীদের সহায়তায় মূর্তিটি রাশিয়ার দূতাবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কোনো সংঘর্ষ হয়নি।

এ ঘটনায় ফ্রান্স সরকার এবং গ্রেভিন মিউজিয়াম কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

গ্রিনপিস ফ্রান্সের পরিচালক জঁ-ফ্রঁসোয়া জুলিয়ার জানান, “আমরা ইউক্রেনকে ফ্রান্স ও ইউরোপের সমর্থন প্রত্যাখ্যান করছি না। কিন্তু যদি আমরা নীতিগতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে চাই, তবে একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে সমর্থন জানিয়ে অন্যদিকে রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গ্যাস, সার ও ইউরেনিয়াম আমদানি চালিয়ে যাওয়া যায় না।”

প্রসঙ্গত, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও স্পেন ইউরোপে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে উদ্যোগ নিচ্ছে, তবুও কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি—যার মেয়াদ ২০৪১ সাল পর্যন্ত—বাতিল করা সম্ভব হয়নি। এসব চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট রয়েছে ফরাসি কোম্পানি টোটাল এনার্জিস এবং ন্যাচারগির মতো প্রতিষ্ঠান।

গ্রিনপিস জানিয়েছে, তারা ম্যাকরনের মোমের মূর্তিটি ফেরত দেবে, তবে কবে তা হবে—সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গ্রিনপিসের প্রতিবাদে ম্যাকরনের মোমের মূর্তি সরিয়ে রাশিয়ার দূতাবাসের সামনে রেখে দেওয়া

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের জলবায়ু নীতির দুর্বলতা এবং রাশিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রতিবাদে অভিনব কর্মসূচি নিয়েছে গ্রিনপিস। সোমবার (৩ জুন) তিনজন গ্রিনপিস কর্মী প্যারিসের বিখ্যাত গ্রেভিন মিউজিয়াম থেকে ম্যাকরনের একটি মোমের মূর্তি সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রাশিয়ার দূতাবাসের সামনে রেখে দেন।

এই প্রতিবাদ সম্পর্কে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গ্রিনপিসের বিবৃতিতে বলা হয়, “রাশিয়ার সঙ্গে সব ধরনের চুক্তি বাতিল না করা এবং ইউরোপব্যাপী সাহসী পরিবেশগত রূপান্তর নিশ্চিত না করা পর্যন্ত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধিত্বের যোগ্য নন।”

গ্রিনপিসের এক মুখপাত্র জানান, অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মীরা সাধারণ দর্শনার্থীর ছদ্মবেশে মিউজিয়ামে প্রবেশ করেন এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুত ম্যাকরনের মূর্তি সরিয়ে নেন। মিউজিয়ামের বাইরে একটি গাড়িতে অপেক্ষায় থাকা অন্য কর্মীদের সহায়তায় মূর্তিটি রাশিয়ার দূতাবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কোনো সংঘর্ষ হয়নি।

এ ঘটনায় ফ্রান্স সরকার এবং গ্রেভিন মিউজিয়াম কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

গ্রিনপিস ফ্রান্সের পরিচালক জঁ-ফ্রঁসোয়া জুলিয়ার জানান, “আমরা ইউক্রেনকে ফ্রান্স ও ইউরোপের সমর্থন প্রত্যাখ্যান করছি না। কিন্তু যদি আমরা নীতিগতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে চাই, তবে একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে সমর্থন জানিয়ে অন্যদিকে রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গ্যাস, সার ও ইউরেনিয়াম আমদানি চালিয়ে যাওয়া যায় না।”

প্রসঙ্গত, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও স্পেন ইউরোপে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে উদ্যোগ নিচ্ছে, তবুও কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি—যার মেয়াদ ২০৪১ সাল পর্যন্ত—বাতিল করা সম্ভব হয়নি। এসব চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট রয়েছে ফরাসি কোম্পানি টোটাল এনার্জিস এবং ন্যাচারগির মতো প্রতিষ্ঠান।

গ্রিনপিস জানিয়েছে, তারা ম্যাকরনের মোমের মূর্তিটি ফেরত দেবে, তবে কবে তা হবে—সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।