“যেখানে সত্য থেমে যায়, সেখানেই প্রতিবাদী কণ্ঠ”

- আপডেট সময় : ০৮:৫৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে
📰 প্রতিবাদী কণ্ঠ
সারাদেশের পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের নয় দিনের মানবিক অবস্থান কর্মসূচি: ন্যায্য অধিকারের জন্য আলোচিত আন্দোলন
📍 বিশেষ প্রতিবেদন | প্রতিবাদী কণ্ঠ ডেস্ক
📅 মে ২০২৫
❝ যারা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেন, আজ তাঁদের নিজ ঘর অন্ধকারাচ্ছন্ন ❞
সারা দেশের আশিটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী বর্তমানে একটি যৌক্তিক, শান্তিপূর্ণ এবং মানবিক আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁদের ন্যায্য অধিকার দাবি করছেন।
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টানা নয় দিন ধরে তাঁরা অবস্থান করছেন, যেখানে কেউ এসেছেন চরম ঝুঁকি নিয়ে, কেউ এসেছেন অসুস্থতা নিয়েও। পরিবার ও সহকর্মী—সবাই এক অনিশ্চয়তার ভেতর।
⚠️ অবহেলা, বঞ্চনা ও চাকরি হারানোর আতঙ্ক
এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে বছরের পর বছর ধরে চলা অবহেলা ও বৈষম্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখিয়েছেন, তাঁদের ৪৫ জনকে ইতিমধ্যেই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ধরনের প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থা, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য কলঙ্কজনক। এতে অনেক কর্মী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন—তাঁদের জীবিকা ও পরিবারের ভবিষ্যৎ আজ ঝুঁকির মুখে।
💔 রোদ, ঝড়, বৃষ্টি পেরিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান
রাজপথে অবস্থানরত কর্মীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, চিকিৎসা পাচ্ছেন না, আবার কেউ পরিবার থেকে দূরে থেকে মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।
তবুও তাঁরা নিরব, ভদ্র, সুসংগঠিতভাবে তাঁদের দাবিগুলো উপস্থাপন করছেন।
তাঁদের বক্তব্য, “আমরা দেশের উন্নয়নে অংশ নিয়েছি, আজ শুধু আমাদের প্রাপ্যটুকু চাই।”
📣 পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রধান পাঁচটি দাবি:
১. চাকরি স্থায়ীকরণ ও স্থায়ী জনবল কাঠামো বাস্তবায়ন
২. ন্যায্য বেতন কাঠামো নির্ধারণ ও বেতন বৈষম্য দূরীকরণ
৩. কর্মীদের হয়রানি ও চাকরিচ্যুতি বন্ধ
- স্বাস্থ্যঝুঁকির আওতায় চিকিৎসা সহায়তা
৫. মতপ্রকাশ ও প্রতিবাদের স্বাধীনতা রক্ষা
🛑 সমাজের বিবেকবানদের কাছে প্রশ্ন—
যাঁরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন গ্রামীণ জনপদে,
যাঁদের কারণে কৃষক সেচ পান,
ছাত্ররা আলোয় পড়াশোনা করে,
আজ তাঁরাই কেন বঞ্চিত?
এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, বরং এটি ন্যায়, মর্যাদা ও জীবিকার স্বপক্ষে একটি মানবিক আবেদন।
🤲 আমরা কী প্রত্যাশা করি?
প্রতিবাদী কণ্ঠ দাবি করছে—
সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত এই ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়ন করে,
কোনো কর্মী যেন আর আতঙ্কে না থাকেন,
এবং যারা ইতিমধ্যেই অন্যায়ভাবে চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের যেন সুবিচার দেওয়া হয়।
📌 “প্রতিবাদী কণ্ঠ”—আমরা কারও মুখপাত্র নই, আমরা সত্যের কণ্ঠস্বর।
📌 “যেখানে সত্য থেমে যায়, সেখানেই আমরা কথা বলি।”
প্রকাশ: প্রতিবাদী কণ্ঠ অনলাইন পত্রিকা