৯ মাস ২০ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন — বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ শাওনের ময়নাতদন্ত

- আপডেট সময় : ০২:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫ ৮০ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের সাহসী তরুণ মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন শাওন।
আজ, দীর্ঘ ৯ মাস ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে তাঁর লা/শ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার প্রেক্ষাপট
২০২4 সালের শেষভাগে, রাজধানী ঢাকায় চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন শাওন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, তিনি শান্তিপূর্ণভাবে একটি ব্যানার হাতে ফ্লাইওভারের উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ শুরু হয় গুলিচালনা।
একটি গু*লি এসে বিদ্ধ করে শাওনের বুক—স্থানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।
পরিবারের বক্তব্য
শাওনের বাবা আব্দুর রহিম বলেন,
“আমার ছেলে কোনো দাঙ্গাবাজ ছিল না। ওর একটাই অপরাধ—ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিল। আমি শুধু চাই, যার হাতে ও মারা গেছে, সে যেন বিচার থেকে না বাঁচে।”
মা রওশন আরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
“প্রতিদিন ছেলের কবরের পাশে বসে কাঁদতাম। আজ মনে হচ্ছে, ছেলের আত্মা বলছে—’মা, এবার সত্যি সামনে আসবে’।”
মানবাধিকারকর্মীদের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন ‘মানবভয়েস’ এর কর্মকর্তা আফরোজা ইসলাম বলেন,
“একজন নিরস্ত্র তরুণকে গুলি করে হত্যা করা শুধু আইন নয়, মানবতাবিরোধী অপরাধ। শাওন শুধু একজন শহীদ না, সে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশের প্রতীক হয়ে থাকবে।”
প্রতিবাদী কণ্ঠের অবস্থান
আমরা বিশ্বাস করি, সত্য কখনো মুছে ফেলা যায় না। শাওনের রক্তভেজা শহরের রাজপথ আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই রাষ্ট্রে এখনো বিচার পাওয়ার জন্য কবর খুঁড়তে হয়।
এই অন্যায়ের বিচার না হলে ভবিষ্যতে আরও শাওন জন্মাবে, প্রতিবাদ করবে, শহীদ হবে।
আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি—
দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত সম্পন্ন করে হত্যার পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।
শহীদ শাওনের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
নিরাপদ প্রতিবাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে সবার জন্য।