সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

ভৈরবে মামা-ভাগনির মাদক কারবার, টাস্কফোর্সের অভিযানে কারাদণ্ড ও জরিমানা

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরে মাদকবিরোধী টাস্কফোর্সের অভিযানে মামা-ভাগনি জুটিকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ইয়াবা, হিরোইন ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন আলামত। অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উভয়কে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে ভৈরব শহরের নিউটাউন এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

আটক ও উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্য

আটক দুই ব্যক্তি হলেন—নিউটাউন এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া এবং একই এলাকার সিজন মিয়ার স্ত্রী হাসি আক্তার মিম। সম্পর্কে তারা মামা ও ভাগনি। অভিযানে হাসি আক্তারের নিজ ঘর থেকে ১৭১ পিস ইয়াবা, এবং সোহেল মিয়ার দেহ তল্লাশি করে ১৭ পুরিয়া হিরোইন ও মাদক বিক্রির নগদ ৬৩ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

অভিযান পরিচালনার নেতৃত্বে ছিলেন ইউএনও

এই অভিযান পরিচালনা করেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক শবনম শারমিন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত টাস্কফোর্সে অংশ নেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ভৈরব সার্কেলের পরিদর্শক মাসুদুর রহমান, সহকারী পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম তালুকদার, র‍্যাব-১৪ এর ডিএডি রামকৃষ্ণ সাহা এবং ভৈরব থানার পুলিশ সদস্যরা।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি

আটককৃতরা মাদক কারবারে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করলে, অভিযানস্থলে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের প্রত্যেককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অনাদায়ে আরও এক মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ডের আদেশ দেন ইউএনও ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শবনম শারমিন।

প্রশাসনের বার্তা

অভিযান শেষে ইউএনও শবনম শারমিন বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। যারা মাদক ব্যবসায় জড়িত, তারা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।”

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

নিউটাউন এলাকায় মাদকের এমন সরবরাহ ও কারবারে পরিবারভিত্তিক জড়িত থাকার ঘটনায় স্থানীয়রা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভৈরবে মামা-ভাগনির মাদক কারবার, টাস্কফোর্সের অভিযানে কারাদণ্ড ও জরিমানা

আপডেট সময় : ০৮:৩১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরে মাদকবিরোধী টাস্কফোর্সের অভিযানে মামা-ভাগনি জুটিকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ইয়াবা, হিরোইন ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন আলামত। অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উভয়কে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে ভৈরব শহরের নিউটাউন এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

আটক ও উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্য

আটক দুই ব্যক্তি হলেন—নিউটাউন এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া এবং একই এলাকার সিজন মিয়ার স্ত্রী হাসি আক্তার মিম। সম্পর্কে তারা মামা ও ভাগনি। অভিযানে হাসি আক্তারের নিজ ঘর থেকে ১৭১ পিস ইয়াবা, এবং সোহেল মিয়ার দেহ তল্লাশি করে ১৭ পুরিয়া হিরোইন ও মাদক বিক্রির নগদ ৬৩ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

অভিযান পরিচালনার নেতৃত্বে ছিলেন ইউএনও

এই অভিযান পরিচালনা করেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক শবনম শারমিন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত টাস্কফোর্সে অংশ নেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ভৈরব সার্কেলের পরিদর্শক মাসুদুর রহমান, সহকারী পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম তালুকদার, র‍্যাব-১৪ এর ডিএডি রামকৃষ্ণ সাহা এবং ভৈরব থানার পুলিশ সদস্যরা।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি

আটককৃতরা মাদক কারবারে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করলে, অভিযানস্থলে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের প্রত্যেককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অনাদায়ে আরও এক মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ডের আদেশ দেন ইউএনও ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শবনম শারমিন।

প্রশাসনের বার্তা

অভিযান শেষে ইউএনও শবনম শারমিন বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। যারা মাদক ব্যবসায় জড়িত, তারা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।”

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

নিউটাউন এলাকায় মাদকের এমন সরবরাহ ও কারবারে পরিবারভিত্তিক জড়িত থাকার ঘটনায় স্থানীয়রা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা।