সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

উখিয়ায় পাষণ্ড বাবার নির্মমতা: চার বছরের মেয়েকে হত্যা করে ফেলে দিল খালে

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০৮:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে


কক্সবাজারের উখিয়ায় এক মাদকাসক্ত পিতার নৃশংসতায় প্রাণ হারাল চার বছরের একটি নিষ্পাপ শিশু। মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করে মরদেহ খালে ফেলে দেন বাবা আমান উল্লাহ (৩২)। নিহত শিশুর নাম কানিছ ফাতেমা জ্যোতি।

শনিবার (৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উখিয়ার মনখালী কোনারপাড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, টেকনাফের শামলাপুর বাজার থেকে গাঁজা সেবন করে বাড়ি ফিরে আসে আমান উল্লাহ। এরপর ঘুমন্ত অবস্থায় নিজের মেয়ে জ্যোতিকে নির্মমভাবে রড দিয়ে আঘাত করে। একপর্যায়ে সে নিথর হয়ে গেলে মেয়ের মরদেহ টেনে নিয়ে গিয়ে পাশের মনখালী খালের পানিতে ফেলে দেয়।

চিৎকার শুনে অন্য সন্তানরা ও স্ত্রী জোসনা আক্তার ছুটে গিয়ে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে খালের পাশে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন চাকমাপাড়া ব্রিজের নিচ থেকে।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা আমান উল্লাহকে আটক করে তার বাড়ির টিনের চালা ও দরজা ভেঙে বাইরে বের করে আনে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

পরে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘাতক আমান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের সামনেই নিজের মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফ হোসেন বলেন, “শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

স্থানীয়দের মতে, আমান উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন এবং পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। তার এই নির্মমতা পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এখন একটাই দাবি—এই পাষণ্ড যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

উখিয়ায় পাষণ্ড বাবার নির্মমতা: চার বছরের মেয়েকে হত্যা করে ফেলে দিল খালে

আপডেট সময় : ০৮:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫


কক্সবাজারের উখিয়ায় এক মাদকাসক্ত পিতার নৃশংসতায় প্রাণ হারাল চার বছরের একটি নিষ্পাপ শিশু। মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করে মরদেহ খালে ফেলে দেন বাবা আমান উল্লাহ (৩২)। নিহত শিশুর নাম কানিছ ফাতেমা জ্যোতি।

শনিবার (৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উখিয়ার মনখালী কোনারপাড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, টেকনাফের শামলাপুর বাজার থেকে গাঁজা সেবন করে বাড়ি ফিরে আসে আমান উল্লাহ। এরপর ঘুমন্ত অবস্থায় নিজের মেয়ে জ্যোতিকে নির্মমভাবে রড দিয়ে আঘাত করে। একপর্যায়ে সে নিথর হয়ে গেলে মেয়ের মরদেহ টেনে নিয়ে গিয়ে পাশের মনখালী খালের পানিতে ফেলে দেয়।

চিৎকার শুনে অন্য সন্তানরা ও স্ত্রী জোসনা আক্তার ছুটে গিয়ে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে খালের পাশে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন চাকমাপাড়া ব্রিজের নিচ থেকে।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা আমান উল্লাহকে আটক করে তার বাড়ির টিনের চালা ও দরজা ভেঙে বাইরে বের করে আনে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

পরে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘাতক আমান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের সামনেই নিজের মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফ হোসেন বলেন, “শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

স্থানীয়দের মতে, আমান উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন এবং পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। তার এই নির্মমতা পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এখন একটাই দাবি—এই পাষণ্ড যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।