সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

২৪ ঘণ্টার মধ্যে আল-আমিন হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি গ্রেপ্তার, র‌্যাবের সফল অভিযান

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আলোচিত আল-আমিন হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি মো. মোশারফ হোসেন (২৬) ও মো. রিপন ওরফে গিট্টু রিপন (২৪)–কে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-২ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ আভিযানিক দল।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার বেতুয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) খান আসিফ তপুর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ

র‌্যাব জানায়, নিহত আল-আমিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি শেরেবাংলা নগর এলাকায় একটি ছিনতাই মামলার আসামি মোশারফের ছোট ভাই মান্নানকে গ্রেফতার করতে সহায়তা করেছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোশারফ ও রিপন কিশোর গ্যাংয়ের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মিলে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

নৃশংস হামলার বিবরণ

১৬ জুলাই সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় আল-আমিন একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক তখনই আসামিরা দলবেঁধে তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার ডান পায়ের হাঁটুর রগ কেটে ফেলে এবং ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে দেয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গ্রেফতার হওয়া আসামিদের পরিচয় ও অতীত অপরাধ

মোশারফ হোসেন: পেশায় রিকশাচালক হলেও সে মোহাম্মদপুর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিতো। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। একাধিকবার গ্রেফতার হলেও প্রতিবার জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

গিট্টু রিপন: পেশায় রংমিস্ত্রি হলেও বাস্তবে মোশারফের সহযোগী হিসেবে সক্রিয় ছিল। নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য অপরাধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

র‌্যাবের বার্তা: কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে

র‌্যাব আরও জানিয়েছে, মোহাম্মদপুর ও এর আশপাশের এলাকায় কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে। জননিরাপত্তা রক্ষায় কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২৪ ঘণ্টার মধ্যে আল-আমিন হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি গ্রেপ্তার, র‌্যাবের সফল অভিযান

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আলোচিত আল-আমিন হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি মো. মোশারফ হোসেন (২৬) ও মো. রিপন ওরফে গিট্টু রিপন (২৪)–কে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-২ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ আভিযানিক দল।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার বেতুয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) খান আসিফ তপুর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ

র‌্যাব জানায়, নিহত আল-আমিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি শেরেবাংলা নগর এলাকায় একটি ছিনতাই মামলার আসামি মোশারফের ছোট ভাই মান্নানকে গ্রেফতার করতে সহায়তা করেছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোশারফ ও রিপন কিশোর গ্যাংয়ের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মিলে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

নৃশংস হামলার বিবরণ

১৬ জুলাই সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় আল-আমিন একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক তখনই আসামিরা দলবেঁধে তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার ডান পায়ের হাঁটুর রগ কেটে ফেলে এবং ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে দেয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গ্রেফতার হওয়া আসামিদের পরিচয় ও অতীত অপরাধ

মোশারফ হোসেন: পেশায় রিকশাচালক হলেও সে মোহাম্মদপুর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিতো। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। একাধিকবার গ্রেফতার হলেও প্রতিবার জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

গিট্টু রিপন: পেশায় রংমিস্ত্রি হলেও বাস্তবে মোশারফের সহযোগী হিসেবে সক্রিয় ছিল। নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য অপরাধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

র‌্যাবের বার্তা: কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে

র‌্যাব আরও জানিয়েছে, মোহাম্মদপুর ও এর আশপাশের এলাকায় কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে। জননিরাপত্তা রক্ষায় কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।