সিলেটে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩ গাড়িচালক

- আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে (১৯) অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তিন গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন—সদর ইউনিয়নের উমাগড় গ্রামের মাইক্রোবাসচালক শুভঙ্কর দাস (২৭), বীরদল কচুপাড়া গ্রামের বাবুল আহমদ (২৮) এবং চটিগ্রাম গ্রামের ফাহাদ মিয়া (২৫)। বাবুল ও ফাহাদ দুজনই পিকআপচালক হিসেবে কাজ করতেন।
ঘুমের ঘরে থেকে নিখোঁজ তরুণী, পরদিন উদ্ধার
মামলার এজাহার ও পরিবারের বরাতে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীটি তাঁর মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতের কোনো একসময় হঠাৎ ঘুম ভাঙলে মা দেখেন, মেয়ে পাশে নেই এবং ঘরের দরজাও খোলা। রাতভর খোঁজ করেও মেয়েকে খুঁজে পাননি।
পরদিন বুধবার সকালে কানাইঘাট উপজেলার বালুচর এলাকা থেকে তরুণীকে অসুস্থ ও বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। তরুণীর শরীর ও মানসিক অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয় যে, তাঁর সঙ্গে অমানবিক কিছু ঘটেছে।
ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা, পুলিশের তদন্ত শুরু
পরিবার তরুণীকে বাড়ি নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার তাঁকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যান। এরপর পুলিশ তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (OCC) পাঠায়। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মনোসামাজিক সহায়তা দেওয়া হয়।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে—মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া তিন যুবক তরুণীকে রাস্তায় একা পেয়ে গাড়িতে তুলে অপহরণ করেন। এরপর তাঁকে নির্জন স্থানে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা, অভিযুক্তদের কারাগারে প্রেরণ
শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণীর মা কানাইঘাট থানায় তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল বলেন, “তরুণীর মা দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের শুক্রবার আদালতে পাঠানো হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং ঘটনায় জড়িত অন্য কেউ থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। পুলিশ বলছে, প্রাপ্ত তথ্য ও মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।