সিকিমে টানা বৃষ্টিতে দুর্যোগ: ১৩০০ পর্যটকসহ বহু মানুষ আটকা, তিস্তায় নিখোঁজ ৮

- আপডেট সময় : ০৯:০৫:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ি রাজ্য সিকিমে টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্টি হয়েছে মারাত্মক দুর্যোগ। ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে অন্তত ১৩০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
দুর্যোগে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সিকিমের মাঙ্গান জেলার লাচেন ও লাচুং উপত্যকা। এই এলাকায় ১২৭৬ জন ভারতীয় পর্যটক ও ২ জন বিদেশি নাগরিক আটকে পড়েছেন। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সড়ক যোগাযোগের কারণে তারা নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারছেন না।
এর আগেও, চলতি বছরের ২৯ মে উত্তর সিকিমের মুনশিথাং এলাকায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। একটি পর্যটকবাহী গাড়ি তিস্তা নদীতে পড়ে গেলে আটজন নিখোঁজ হন, যাদের এখনো খোঁজ মেলেনি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৩ সালে একই অঞ্চলে গ্লেসিয়ার ফাটলের কারণে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়, যা ব্যাপক ক্ষতির সৃষ্টি করে। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত ফিদাং এলাকার বেইলি ব্রিজ পুনঃনির্মাণ করা হলেও চলতি বর্ষায় সেটিও আবার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
মাঙ্গান জেলা পঞ্চায়েতের উপাধ্যক্ষ সোনাম কিপা ভুটিয়া জানান, “উত্তর সিকিমের রাস্তা-ঘাটের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এখনও পাহাড়ি উচ্চ অঞ্চলে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ পর্যটক আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। ফিদাং ব্রিজ ছিল আমাদের প্রধান ভরসা, সেটিও এখন বিপজ্জনক অবস্থায় আছে।”
এদিকে জেলার সিনিয়র পুলিশ অফিসার সোনাম ডেচু ভুটিয়া বলেন, “টানা বৃষ্টিতে রাস্তাগুলো কেটে গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পুরো এলাকাই এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।”
বর্ষাকালে সিকিমে এমন দুর্যোগ নতুন নয়, তবে এবারের পরিস্থিতি অনেক বেশি জটিল আকার ধারণ করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপৎকালীন ব্যবস্থাগ্রহণ চললেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে।