সার্বিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, আটক বহু

- আপডেট সময় : ১২:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে
সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুচিচের সরকারের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষ রাস্তায় নামলে পুলিশের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং ব্যাপক ধরপাকড় চালায়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভে তাৎক্ষণিক নির্বাচন ও ভুচিচের ১২ বছরের শাসনের অবসান দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। এ বিক্ষোভ আট মাস ধরে চলা ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনেরই সম্প্রসারিত রূপ, যা বর্তমানে সার্বিয়ার রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
বেলগ্রেডের স্লাভিয়া স্কোয়ার ও আশপাশের সড়কগুলোতে ‘আমরা নির্বাচন চাই’ স্লোগানে মুখর জনতা সমবেত হলেও অনেকেই পুলিশি বাধার কারণে বিক্ষোভস্থলে পৌঁছাতে পারেননি।
সার্বিয়ার পুলিশ মহাপরিচালক দ্রাগান ভাসিলজেভিক জানিয়েছেন, সংঘর্ষে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং আটক করা হয়েছে বেশ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে।
অন্যদিকে, ইনস্টাগ্রামে এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট ভুচিচ অভিযোগ করেন, “বিক্ষোভকারীরা সার্বিয়াকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।”
স্বাধীন পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘আর্কাইভ অব পাবলিক গ্যাদারিংস’-এর তথ্যমতে, প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ এ বিক্ষোভে অংশ নেন, যা দেশটির ইতিহাসে ছাত্রদের নেতৃত্বে সবচেয়ে বড় সমাবেশগুলোর একটি।
গত বছর নভেম্বরে নোভি সাদ শহরের একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৬ জনের মৃত্যু হলে জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, অবকাঠামোগত দুর্নীতি ও অবহেলার ফলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চাপের মুখে চলতি বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুসেভিচ পদত্যাগ করলেও প্রেসিডেন্ট ভুচিচ এখনও ক্ষমতায় রয়েছেন।
আইনের ছাত্র স্টেফান ইভাকোভিচ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপিকে বলেন, “আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, থামব না। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
বিক্ষোভে অংশ নিতে উত্তর সার্বিয়ার সিদ শহর থেকে আসা কৃষক স্লাদজানা লোজানোভিচ বলেন, “দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষমতাসীনদের দখলে। একমাত্র সমাধান নির্বাচন। তবে আমি মনে করি না ভুচিচ শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়বেন।”
বিক্ষোভের আগে আয়োজকরা রাত ৯টার মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি ‘আলটিমেটাম’ দিয়েছিলেন। পরে তারা ‘জনগণের হাতে স্বাধীনতা নেয়ার’ আহ্বান জানিয়ে ‘গ্রিন সিগনাল’ দেন।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে ইনস্টাগ্রামে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “সরকারের সামনে দাবি মানার সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা নিপীড়নকেই বেছে নিয়েছে।”
সার্বিয়ার পার্লামেন্টে ভুচিচের প্রগ্রেসিভ পার্টি নেতৃত্বাধীন জোট ২৫০টি আসনের মধ্যে ১৫৬টি দখলে রেখেছে। প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, এই আন্দোলনের পেছনে ‘বিদেশি শক্তি’ কাজ করছে। যদিও বিরোধীরা তাকে ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধে জড়িত থাকা, বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়