সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

সাতকানিয়ায় মাদক সন্ত্রাসের নতুন রূপ: গডফাদার-গডমাদারের রাজত্বে বিপন্ন জনজীবন

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৩:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে


চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা ও ভদ্রলোকের এলাকা হিসেবে পরিচিত সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা আজ মাদকের ভয়াল ছোবলে বিপর্যস্ত। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর থেকেই সাতকানিয়ায় মাদক কারবারিদের এক নতুন গোষ্ঠীর উত্থান ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের মতে, প্রশাসনের নিরবতা এই পরিস্থিতিকে আরও গভীরতর করছে।

বিশেষ করে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন ও মাদার্শা ইউনিয়ন মাদক কারবারের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সোনাকানিয়া ৩নং ওয়ার্ডে এক নারী নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাদক চক্রকে—স্থানীয়রা যাকে ‘গডমাদার’ বলে আখ্যায়িত করছেন। নাম রুনা আক্তার। তার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সোনাকানিয়া থেকে মাদার্শা পর্যন্ত বিস্তৃত।

একজন মাদকসেবীর সূত্রে জানা যায়, রুনা নিজেকে সাবেক এমপি আবু রেজা নদভীর ভাতিজি এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান সেলিমের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে থানাসহ প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকেন। বর্তমানে একজন সম্মানিত আলেমের নাম ব্যবহার করেও চলছে তার অপকর্ম আড়াল করার চেষ্টা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কেউ তার কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করলে তাকে ভয়ভীতি, হুমকি এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তার রয়েছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ টাকার জোর এবং উচ্চপর্যায়ের লবিং।

গতকাল মাদার্শা বাংলা ক্লাবের সামনে এমনই এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বাধায় এক মাদকসেবী প্রকাশ্যে ছুরি নিয়ে হামলা চালাতে উদ্যত হয়। এ ঘটনা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে।

এলাকাবাসীর দাবি—মাদকের এই ভয়াবহ নেটওয়ার্ক এবং এর নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ ও কঠোর তদন্ত চালায়, তাহলে বেরিয়ে আসবে ভয়ঙ্কর সব সত্য। জনগণের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী ও সাতকানিয়া থানা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে—এই ‘গডফাদার-গডমাদারদের’ বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাতকানিয়ায় মাদক সন্ত্রাসের নতুন রূপ: গডফাদার-গডমাদারের রাজত্বে বিপন্ন জনজীবন

আপডেট সময় : ০৮:৫৩:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫


চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা ও ভদ্রলোকের এলাকা হিসেবে পরিচিত সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা আজ মাদকের ভয়াল ছোবলে বিপর্যস্ত। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর থেকেই সাতকানিয়ায় মাদক কারবারিদের এক নতুন গোষ্ঠীর উত্থান ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের মতে, প্রশাসনের নিরবতা এই পরিস্থিতিকে আরও গভীরতর করছে।

বিশেষ করে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন ও মাদার্শা ইউনিয়ন মাদক কারবারের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সোনাকানিয়া ৩নং ওয়ার্ডে এক নারী নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাদক চক্রকে—স্থানীয়রা যাকে ‘গডমাদার’ বলে আখ্যায়িত করছেন। নাম রুনা আক্তার। তার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সোনাকানিয়া থেকে মাদার্শা পর্যন্ত বিস্তৃত।

একজন মাদকসেবীর সূত্রে জানা যায়, রুনা নিজেকে সাবেক এমপি আবু রেজা নদভীর ভাতিজি এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান সেলিমের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে থানাসহ প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকেন। বর্তমানে একজন সম্মানিত আলেমের নাম ব্যবহার করেও চলছে তার অপকর্ম আড়াল করার চেষ্টা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কেউ তার কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করলে তাকে ভয়ভীতি, হুমকি এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তার রয়েছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ টাকার জোর এবং উচ্চপর্যায়ের লবিং।

গতকাল মাদার্শা বাংলা ক্লাবের সামনে এমনই এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বাধায় এক মাদকসেবী প্রকাশ্যে ছুরি নিয়ে হামলা চালাতে উদ্যত হয়। এ ঘটনা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে।

এলাকাবাসীর দাবি—মাদকের এই ভয়াবহ নেটওয়ার্ক এবং এর নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ ও কঠোর তদন্ত চালায়, তাহলে বেরিয়ে আসবে ভয়ঙ্কর সব সত্য। জনগণের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী ও সাতকানিয়া থানা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে—এই ‘গডফাদার-গডমাদারদের’ বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের।