রুমায় অভিযানে নিহত দুই কেএনএ সদস্যের পরিচয় শনাক্ত

- আপডেট সময় : ০৩:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
রুমার দুর্গম পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত দুই কেএনএ সদস্যের পরিচয় শনাক্ত
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম নাইতং পাহাড়সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)–এর দুই সদস্যের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার নিহতদের মরদেহ তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বান্দরবান সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বম সোশ্যাল কাউন্সিল (বিএসসি) ও ইয়াং বম অ্যাসোসিয়েশনের (ওয়াইবিএ) নেতারা নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন লালহিম সাং বম (৩০) ও লালতোলয়াং থাং বম (২৮), যিনি অজয় বাবু নামেও পরিচিত।
লালহিম সাং বম রুমার পাইন্দু ইউনিয়নের মুন্নুয়াপাড়ার বাসিন্দা এবং সাবেক ইউপি সদস্য জিরখুম বমের ছেলে। লালতোলয়াং থাং বম একই ইউনিয়নের রৌনিনপাড়ার লালতিন সম বমের ছেলে। পুলিশ জানায়, নিহত লালতোলয়াংয়ের আরেক ভাইও কেএনএফের সদস্য।
অভিযানে উদ্ধার হয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ
বান্দরবান সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে মুয়ালপিপাড়া ও পলিপ্রাংসাপাড়ার মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত কেএনএর একটি আস্তানায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। নাইতং পাহাড় সংলগ্ন তাইদাংম্রংঝিরি এলাকায় গোলাগুলির পর তল্লাশি চালিয়ে দুটি মরদেহ, তিনটি সাবমেশিন গান (এসএমজি), একটি চাইনিজ রাইফেল, বিপুল পরিমাণ গুলি ও বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
নিরাপত্তা হুমকিতে পাহাড়ে কেএনএ’র তৎপরতা
২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)–এর তৎপরতা বেড়ে যায়। কেএনএফ দাবি করে, কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) তাদের সশস্ত্র শাখা হিসেবে কাজ করছে।
বিএসসি সভাপতি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লালজার লম বম বলেন,
“নিহত দুজন কেএনএর সদস্য। পরিচয় শনাক্তের পর আমরা মরদেহ তাঁদের পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় নেতা সাংমিন বম ওরফে পুতিন বমও একই অভিযানে নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হলেও তাঁর মরদেহ এখনও পাওয়া যায়নি।
পুলিশের ভাষ্য
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দ্দী বলেন,
“নিহতদের পরিচয় শনাক্তের পর তাঁদের মরদেহ দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বম সম্প্রদায়ের নেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”