রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় গৃহকর্মীসহ তিনজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

- আপডেট সময় : ১১:৪১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও মুগদা এলাকায় পৃথক তিনটি ঘটনায় এক কিশোরী গৃহকর্মী, এক যুবক ও এক মধ্যবয়সী পুরুষের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৪ জুলাই) দিনভর এই তিনটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এসব মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে ধারণা করা হলেও, সঠিক কারণ জানার জন্য তদন্ত চলছে এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অপেক্ষমাণ।
যাত্রাবাড়ীতে কিশোরী গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, শেখদী স্কুল রোড সংলগ্ন একটি বাসার নিচতলা থেকে ১৬ বছর বয়সী বৃষ্টি আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, “বৃষ্টি ঐ বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের কক্ষে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ও গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে।”
বৃষ্টি খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানার অটলটিলা এলাকার বাসিন্দা বাবুল মিয়ার কন্যা। তার মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মতুয়াইলে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ
একইদিনে যাত্রাবাড়ীর মতুয়াইল উত্তরপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় কাউসার হোসেন রাজু (২৮) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এসআই মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, “রাজু কুমিল্লার বরুড়া থানার খাইরুল পোদ্দার এলাকার মফিদুল ইসলামের ছেলে। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি।”
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
মুগদায় মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ
অন্যদিকে, মুগদা থানার এসআই কাইয়ুম বাহাদুর জানান, মুগদার মানিকনগর এলাকার প্রফেসর গলির একটি বাসা থেকে মো. নাদিম (৩৬) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।”
পুলিশের পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত চলমান
পুলিশ বলছে, তিনটি ঘটনাই আপাতদৃষ্টিতে আত্মহত্যা মনে হলেও, প্রতিটি মৃত্যুর পেছনে কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আত্মহত্যা কি না, না-কি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, সেটি নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এবং সংশ্লিষ্টদের জবানবন্দি গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
[সতর্কবার্তা]
আপনার আশেপাশে কেউ মানসিক চাপে ভুগলে তাকে সহযোগিতা করুন। প্রয়োজন হলে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে উদ্বুদ্ধ করুন। বাংলাদেশে আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করছে এমন সংস্থার সহায়তা নিন।