মুষলধারে বৃষ্টিতে নোয়াখালী জলমগ্ন, ডুবে গেছে অলিগলি–উপজেলা শহর, চরম ভোগান্তিতে জনজীবন

- আপডেট সময় : ০২:২১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে নোয়াখালীতে টানা মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জেলার বিভিন্ন শহর ও উপজেলা অঞ্চলে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলমান দুর্ভোগকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আরও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর এবং সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টির পরিণতিতে নাকাল শহরবাসী
টানা বর্ষণে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর প্রেস ক্লাব সড়ক, টাউন হল মোড়, ইসলামিয়া সড়ক, ডিসি সড়ক, মহিলা কলেজ সড়ক, জেলখানা সড়ক এবং মাইজদী বাজার সড়কসহ একাধিক এলাকায় পানি জমে গেছে। সকাল থেকেই এসব এলাকায় যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে এবং সাধারণ মানুষকে কোমরপানি মাড়িয়ে চলাফেরা করতে দেখা যায়।
শহরের বাসিন্দারা বলছেন, সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং নালা ও জলাশয়গুলো দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রতি বছরই সামান্য বৃষ্টিতেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পৌর কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা এবং অবহেলাকে দায়ী করছেন তারা।
উপজেলাগুলোতেও একই চিত্র
জেলা শহরের বাইরেও দুর্ভোগের কমতি নেই। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা এলাকার করালিয়া, মওদুদ স্কুল, কলেজ গেইট ও হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন সড়কগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, সুবর্ণচর ও সেনবাগ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেও পানিবন্দি অবস্থার খবর পাওয়া গেছে।
প্রশাসনের ভাষ্য
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানিয়েছেন, তিনি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। প্রধান সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা না গেলেও অনেক পাশ্ববর্তী সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপসংহার
একটানা বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে নোয়াখালীতে। শহরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোর রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এখনই কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা না গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।