সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

মানবিক পরিস্থিতিতে পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত বিবেচনায়: শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে


সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে আসা ওই এইচএসসি পরীক্ষার্থীর বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনার আওতায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। শুক্রবার (২৭ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিবৃতিতে উপদেষ্টা বলেন, “মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রচলিত আইন ও বিধিমালার আলোকে সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা তার দুঃসময়ে সংবেদনশীল ও সমব্যথী। পরীক্ষার্থীকে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই ছাত্রী বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার দিন দেড় ঘণ্টা দেরিতে সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছান। নির্ধারিত সময়ের বাইরে কেন্দ্রে আসায় তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বিদ্যমান নীতিমালার বাইরে গিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন না।

পরীক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির বাবা নেই। পরীক্ষার দিন সকালে তার মা স্ট্রোক করলে পরিবারের একমাত্র সক্ষম সদস্য হিসেবে মেয়েটিই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে দৌড়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে এলেও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সহানুভূতির সৃষ্টি হয়। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীক্ষার্থীকে বিশেষ বিবেচনায় পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। বিষয়টি এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মানবিক পরিস্থিতিতে পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত বিবেচনায়: শিক্ষা উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০১:৫৬:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫


সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে আসা ওই এইচএসসি পরীক্ষার্থীর বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনার আওতায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। শুক্রবার (২৭ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিবৃতিতে উপদেষ্টা বলেন, “মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রচলিত আইন ও বিধিমালার আলোকে সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা তার দুঃসময়ে সংবেদনশীল ও সমব্যথী। পরীক্ষার্থীকে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই ছাত্রী বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার দিন দেড় ঘণ্টা দেরিতে সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছান। নির্ধারিত সময়ের বাইরে কেন্দ্রে আসায় তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বিদ্যমান নীতিমালার বাইরে গিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন না।

পরীক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির বাবা নেই। পরীক্ষার দিন সকালে তার মা স্ট্রোক করলে পরিবারের একমাত্র সক্ষম সদস্য হিসেবে মেয়েটিই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে দৌড়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে এলেও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সহানুভূতির সৃষ্টি হয়। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীক্ষার্থীকে বিশেষ বিবেচনায় পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। বিষয়টি এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।