মাত্র ১–৫ লাখ দর! এমপি কোটার ৩০ গাড়ি বিক্রি নিয়ে বিপাকে চট্টগ্রাম কাস্টমস

- আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে
বাজারমূল্যে প্রায় ১২ কোটি টাকার ৩০টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে তোলার পর সর্বোচ্চ দর উঠেছে মাত্র ১ থেকে ৫ লাখ টাকা—এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পড়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। এসব গাড়ি বিক্রি করে সরকারের দেড়শ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, ন্যূনতম মূল্য না ওঠায় চট্টগ্রাম কাস্টমস এখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার (নিলাম) সাকিব হাসান।
আন্দোলনে পলায়ন, বন্দরে পড়ে আছে বিলাসবহুল গাড়ি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৩১ জন এমপির নামে আমদানি করা এসব গাড়ির মধ্যে একটি গাড়ি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় বাকি ৩০টি গাড়ি বিক্রির উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম কাস্টমস। উল্লেখযোগ্য, এসব এমপি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা এই গাড়িগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা হলেও কাস্টমস ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করেছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
নিলামে হতাশাজনক সাড়া
চলতি বছরের প্রথম নিলামে ২১টি গাড়ির বিপরীতে কিছু বিড আসলেও দর উঠেছে মাত্র ১ থেকে ৩০ লাখ টাকার মধ্যে। শুধু একটি গাড়ির জন্য সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়। তবে বাকি ৯টি গাড়ির জন্য কোনো বিডই আসেনি। এত কম দর পাওয়ায় দ্বিতীয় নিলাম স্থগিত করা হয় এবং কাস্টমস হাউজ এখন বিক্রির কৌশল পাল্টানোর চিন্তা করছে।
কাস্টমসের বক্তব্য
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (নিলাম) সাকিব হাসান বলেন,
“যদি ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার গাড়ি মাত্র ১ থেকে ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়, তাহলে সরকারের রাজস্ব আদায় একেবারেই ব্যাহত হবে। এজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভবিষ্যৎ করণীয়
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ আশাবাদী, এনবিআর থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পেলে এসব গাড়ি পুনঃমূল্যায়ন বা বিশেষ ব্যবস্থায় নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে।