সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

মতপার্থক্য নয়? জনগণের চোখে ধুলা দেওয়া কি তবে নতুন কৌশল?

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে

সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই—এমন দাবিতে মুখর হয়েছে সেনা সদর। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নাকি সেনাবাহিনীর সম্পর্ক চমৎকার! সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন চিত্রই তুলে ধরেছেন মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা। অথচ বাস্তবতা কি সত্যিই এত সরল?

বিগত কিছুদিনে করিডর, কুকি-চিন, পুশইন কিংবা সেনাপ্রধানের বক্তব্য—সবকিছুতেই যে ধোঁয়াশা ও অস্বচ্ছতা সৃষ্টি হয়েছে, তা কি এই ‘চমৎকার সম্পর্ক’-এরই প্রতিফলন? জনগণ যখন প্রশ্ন তোলে, তখন এমন মসৃণ ও ঘষামাজা বক্তব্য দিয়ে সত্য গোপনের চেষ্টা কি বোকা বানানোর সামিল নয়?

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেন, “সরকার এবং সেনাবাহিনী খুব সুন্দরভাবে একে অপরের সহযোগিতায় কাজ করছে।” যদি তা-ই হয়, তবে বিভিন্ন ইস্যুতে সেনাবাহিনীর নীরবতা বা কখনো কখনো বিপরীতমুখী বার্তা কেন? কেন জনগণকে প্রতিবার ব্যাখ্যার আশ্রয়ে যেতে হয়?

সরকারের নির্দেশনায় সেনাবাহিনী কাজ করছে—এটি যদি সত্য হয়, তবে করিডরের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে বাহিনীর অবস্থান এত অস্পষ্ট কেন? এমন পরিস্থিতিতে “ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে” বলা কি সত্যের মুখে কালিমা দেয়া নয়?

জনগণ এখন আর মুখ বুজে সবকিছু মেনে নেয় না। প্রতিটি বক্তব্য, প্রতিটি পদক্ষেপ তারা পর্যবেক্ষণ করে। তাই “সবকিছু ঠিক আছে”—এই সস্তা আশ্বাসে বাস্তবতা ঢেকে ফেলা যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মতপার্থক্য নয়? জনগণের চোখে ধুলা দেওয়া কি তবে নতুন কৌশল?

আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই—এমন দাবিতে মুখর হয়েছে সেনা সদর। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নাকি সেনাবাহিনীর সম্পর্ক চমৎকার! সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন চিত্রই তুলে ধরেছেন মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা। অথচ বাস্তবতা কি সত্যিই এত সরল?

বিগত কিছুদিনে করিডর, কুকি-চিন, পুশইন কিংবা সেনাপ্রধানের বক্তব্য—সবকিছুতেই যে ধোঁয়াশা ও অস্বচ্ছতা সৃষ্টি হয়েছে, তা কি এই ‘চমৎকার সম্পর্ক’-এরই প্রতিফলন? জনগণ যখন প্রশ্ন তোলে, তখন এমন মসৃণ ও ঘষামাজা বক্তব্য দিয়ে সত্য গোপনের চেষ্টা কি বোকা বানানোর সামিল নয়?

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বলেন, “সরকার এবং সেনাবাহিনী খুব সুন্দরভাবে একে অপরের সহযোগিতায় কাজ করছে।” যদি তা-ই হয়, তবে বিভিন্ন ইস্যুতে সেনাবাহিনীর নীরবতা বা কখনো কখনো বিপরীতমুখী বার্তা কেন? কেন জনগণকে প্রতিবার ব্যাখ্যার আশ্রয়ে যেতে হয়?

সরকারের নির্দেশনায় সেনাবাহিনী কাজ করছে—এটি যদি সত্য হয়, তবে করিডরের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে বাহিনীর অবস্থান এত অস্পষ্ট কেন? এমন পরিস্থিতিতে “ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে” বলা কি সত্যের মুখে কালিমা দেয়া নয়?

জনগণ এখন আর মুখ বুজে সবকিছু মেনে নেয় না। প্রতিটি বক্তব্য, প্রতিটি পদক্ষেপ তারা পর্যবেক্ষণ করে। তাই “সবকিছু ঠিক আছে”—এই সস্তা আশ্বাসে বাস্তবতা ঢেকে ফেলা যাবে না।