বড় আকারের বিলম্ব: সেপ্টেম্বরে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘মিড ডে মিল’ কার্যক্রম

- আপডেট সময় : ০৬:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
চলতি মাসেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার (মিড ডে মিল) সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, তা পিছিয়ে যাচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ায় সেপ্টেম্বর থেকে কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিচালিত এই ‘স্কুল ফিডিং প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ৮টি বিভাগের ৬২টি জেলার ১৫০টি উপজেলার মোট ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এই মিড ডে মিল কর্মসূচির আওতায় আসবে।
প্রকল্পটি ডিসেম্বর ২০২৭ সাল পর্যন্ত চলবে। সফল বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মিড ডে মিল চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্মসচিব হারুন অর রশীদ বলেন, “প্রকল্পটি সেপ্টেম্বরের মধ্যে চালু করার লক্ষ্যে সব প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছে। অক্টোবরের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। সে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই আমরা পরিকল্পনা করছি।”
এই প্রকল্পে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশ অর্থ ব্যয় হবে খাদ্য সরবরাহের জন্য। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত বাজেট ২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার বেশি।
সপ্তাহে পাঁচ দিন শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত খাবারের মধ্যে রয়েছে—
রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার: বনরুটি (১২০ গ্রাম) ও সিদ্ধ ডিম (৬০ গ্রাম)
সোমবার: বনরুটি ও ইউএইচটি দুধ (২০০ গ্রাম)
বুধবার: ফরটিফাইড বিস্কুট (৭৫ গ্রাম) ও মৌসুমি ফল বা কলা (১০০ গ্রাম)
সুষ্ঠু বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রতিটি উপজেলায় গঠিত হয়েছে স্কুল ফিডিং মনিটরিং কমিটি। এতে থাকছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তারা।
এছাড়া, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯২টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হবে, যেখানে অংশ নেবেন প্রায় ১৯ হাজার ৭১৯ জন।
সরকারের এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।