প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

- আপডেট সময় : ০৩:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে
বিয়ের আগে পাত্রীকে দেখার জন্য হোটেলে দেখা করতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন বরপক্ষের সুদীপ বসু। পাত্রীর দেওয়া চা পান করার পর সংজ্ঞা হারান তিনি। জ্ঞান ফিরতেই বুঝতে পারেন—চুরি হয়ে গেছে তার মোবাইল ও মানিব্যাগ। এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনা মোড় নেয় নাটকীয় দিকে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরে। ভুক্তভোগী সুদীপ বসু লেনিনগড় এলাকার বাসিন্দা। তার অভিযোগ, বিয়ের জন্য একটি ঘটকালি ওয়েবসাইটে তার সঙ্গে পরিচয় হয় জিয়া সিংহ নামের এক তরুণীর। গত ১ জুলাই তাদের প্রথম দেখা হয় একটি হোটেলে। সেখানেই চা পান করান জিয়া।
কিন্তু চা খাওয়ার পরপরই অজ্ঞান হয়ে পড়েন সুদীপ। জ্ঞান ফেরার পর তিনি দেখতে পান তার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ চুরি হয়েছে। পাত্রী জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি।
পরবর্তীতে সুদীপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে এয়ারপোর্ট থানা বিষয়টি তদন্তে নামে এবং জিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য—চুরি হওয়া মোবাইল ফোনটি বিক্রি করা হয়েছে বাংলাদেশের এক যুবককে।
গ্রেপ্তার জিয়ার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ দমদম এলাকা থেকে রাজশাহীর বাসিন্দা মহাম্মদ হাসানকে গ্রেপ্তার করে। জানা যায়, ৪০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই চুরি হওয়া মোবাইল পাচারের সঙ্গে যুক্ত।
হাসান স্বীকার করেছেন, জিয়ার কাছ থেকে তিনি অন্তত ১০টি মোবাইল ফোন কিনেছেন এবং সেগুলো বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করতেন এবং তার কাছে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে কিনা, কিংবা তার সঙ্গে এই চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশের ওই নাগরিককে ৬ দিনের পুলিশি রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জিয়াকেও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।
এ ঘটনায় চক্রটির আন্তর্জাতিক সংযোগ নিয়ে পুলিশের মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।