সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

নৌকায় মাছ শিকারের ছলে ইয়াবা ব্যবসা, রাজৈরে নারীসহ গ্রেপ্তার ৪

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০৮:১৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে


মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় মাছ শিকারের ছলে নৌকায় বসেই চালানো হচ্ছিল ইয়াবা বিক্রির অবৈধ ব্যবসা। তবে পুলিশের তৎপর অভিযানে ভেসে উঠেছে এই মাদকচক্রের মুখোশ। অভিযানে নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৫ জুলাই) রাতে রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের মজুমদার বাজারের পাশের নদীপাড় থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১,৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে রাজৈর থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—বাজিতপুর গ্রামের সুমন হাওলাদারের স্ত্রী টুম্মা বেগম (৩০), একই গ্রামের কালাম খালাসির ছেলে নয়ন খালাসি (২০), নয়ানগর গ্রামের জগিল হাওলাদারের ছেলে অনিক হাওলাদার (২২) এবং সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কাঠেরপুল এলাকার নুরুজ্জামান ঘরামীর ছেলে সজিব ঘরামী (২০)।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান জানান, দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় কিছু চক্র অভিনব কৌশলে নদীপথে নৌকা ও টং ঘর ব্যবহার করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। মূলত বাজিতপুর গ্রামের সুমন হাওলাদার ও তার ভাই সোহেল হাওলাদার এ ব্যবসার হোতা হিসেবে কাজ করছে।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্চয় কুমার ঘোষের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এ সময় এক নারীসহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলেও চক্রের মূল দুই হোতা সুমন ও সোহেল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

পুলিশ জানায়, এই মাদক ব্যবসায়ীরা সাধারণত মাঝ নদীতে অবস্থান করে এবং সেখানে বসেই ইয়াবা বিক্রি করে। তাদের কাছাকাছি যেতে হলে নৌকা ব্যবহার করতে হয়। অপরিচিত কাউকে দেখলে সাথে সাথে ইয়াবা পানিতে ফেলে দেয়, যাতে সেগুলো গলে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায় এবং প্রমাণ মুছে যায়। এই কারণে তাদের ধরাও বেশ কঠিন।

ওসি আরও বলেন, “আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। মাদক চক্র যতই কৌশল পরিবর্তন করুক, আমরা তাদের ধরেই আইনের আওতায় আনব।”

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নৌকায় মাছ শিকারের ছলে ইয়াবা ব্যবসা, রাজৈরে নারীসহ গ্রেপ্তার ৪

আপডেট সময় : ০৮:১৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫


মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় মাছ শিকারের ছলে নৌকায় বসেই চালানো হচ্ছিল ইয়াবা বিক্রির অবৈধ ব্যবসা। তবে পুলিশের তৎপর অভিযানে ভেসে উঠেছে এই মাদকচক্রের মুখোশ। অভিযানে নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৫ জুলাই) রাতে রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের মজুমদার বাজারের পাশের নদীপাড় থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১,৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে রাজৈর থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—বাজিতপুর গ্রামের সুমন হাওলাদারের স্ত্রী টুম্মা বেগম (৩০), একই গ্রামের কালাম খালাসির ছেলে নয়ন খালাসি (২০), নয়ানগর গ্রামের জগিল হাওলাদারের ছেলে অনিক হাওলাদার (২২) এবং সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কাঠেরপুল এলাকার নুরুজ্জামান ঘরামীর ছেলে সজিব ঘরামী (২০)।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান জানান, দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় কিছু চক্র অভিনব কৌশলে নদীপথে নৌকা ও টং ঘর ব্যবহার করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। মূলত বাজিতপুর গ্রামের সুমন হাওলাদার ও তার ভাই সোহেল হাওলাদার এ ব্যবসার হোতা হিসেবে কাজ করছে।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্চয় কুমার ঘোষের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এ সময় এক নারীসহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলেও চক্রের মূল দুই হোতা সুমন ও সোহেল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

পুলিশ জানায়, এই মাদক ব্যবসায়ীরা সাধারণত মাঝ নদীতে অবস্থান করে এবং সেখানে বসেই ইয়াবা বিক্রি করে। তাদের কাছাকাছি যেতে হলে নৌকা ব্যবহার করতে হয়। অপরিচিত কাউকে দেখলে সাথে সাথে ইয়াবা পানিতে ফেলে দেয়, যাতে সেগুলো গলে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায় এবং প্রমাণ মুছে যায়। এই কারণে তাদের ধরাও বেশ কঠিন।

ওসি আরও বলেন, “আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। মাদক চক্র যতই কৌশল পরিবর্তন করুক, আমরা তাদের ধরেই আইনের আওতায় আনব।”

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।