নোয়াখালীতে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট

- আপডেট সময় : ০২:১৪:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালী সদর উপজেলার ২০নং আন্ডার চর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের আলা উদ্দিন কন্ট্রাকটরের বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে উপজেলার পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের আলা উদ্দিন কন্ট্রাকটরের বসত বাড়িতে এ লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আলা উদ্দিন কন্ট্রাকটর জানান, ২০২৩ ইং সনে প্রতিবেশী আবু তাহেরের কাছ থেকে পুরাতন টিনসেট ঘরসহ ২১ শতাংশ জমি খরিদ করি। খরিদকৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছি। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী আব্দুস শহীদ জমিটি তার দাবি করে আমাদেরকে বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করে বাড়িটি দখল করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন।
বিষয়টি আমরা সমাজের মান্য গণ্য লোকদেরকে অবগত করলে তারা আমাদের উভয়পক্ষকে কুরবান ঈদের পর সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে জানিয়ে দেন।
ঘটনার দিন মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে আমার স্ত্রী রিনা আক্তার বাড়িতে না থাকায়, স্থানীয় বাংলাবাজারের গ্রাম্য ডাক্তার আমির হোসেনের নির্দেশে ৮-১০ জন আমার বাড়িতে ঢুকে, আমার বসত ঘরের পিছনের দরজা ভেঙে ঘরে থাকা টাকা, স্বর্ণালংকার ও জমির দলিলহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়, এবং আবু তাহেরের কাছ থেকে জমিসহ কেনা পুরাতন টিনসেট ঘরটি বড় টলিতে করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে আমরা জরুরি কল ৯৯৯ এ কল দিলে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানা থেকে ডিউটি অফিসার আমাদেরকে থানায় এসে অভিযোগ করার জন্য পরামর্শ দেন। আমি জীবিকার তাগিদে চট্টগ্রামে থাকায় বুধবার সকালে আমার স্ত্রী রিনা আক্তার বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আসামিরা হলেন – ১। ডাঃ আমির হোসেন (৩২), পিতা- মান্নান মাঝি, ২। আব্দুস শহিদ (৫৫), পিতা- আব্দুল মান্নান, ৩। মোঃ আল আমিন (২৭), পিতা- আবু তাহের, ৪। খুরশিদ আলম (৫৫), পিতা- অজ্ঞাত, ৫। বিবি আয়েশা (৪০), স্বামী- আব্দুস শহিদ, সর্ব সাং- পশ্চিম মাইজচরা, ৩নং ওয়ার্ড, ২০নং আন্ডারচর ইউপি, থানা- সুধারাম, জেলা- নোয়াখালী, ৬। মোঃ এরসাদ, আলম (৩৫), পিতা- খুরশিদ আলম, ৭। বিবি ছকিনা (৩৫), স্বামী- আলী হোসেন, ৮। মোবাশ্বেরা বেগম (৩২), স্বামী- হারুনুর রশিদ বাচ্চু, সর্ব সাং- চর মার্টিন, থানা- কমলনগর, জেলা- লক্ষ্মীপুর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আমির হোসেন বলেন… আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।