সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

নারীসহ রেস্ট হাউসে ধরা, প্রত্যাহার ঝিনাইদহের ওসি সাইফুল

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে

যশোরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি রেস্ট হাউসে স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া এ ঘটনার পর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় যশোর পাউবোর পুরনো রেস্ট হাউসের ‘কপোতাক্ষ’ নামক কক্ষে উঠেছিলেন ওসি সাইফুল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে প্রবেশ করেন।

খবর পেয়ে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসান সনি দলবল নিয়ে রেস্ট হাউসে যান। কক্ষের দরজায় ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে ওসি সাইফুল বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদল নেতারা তাকে টেনে-হিঁচড়ে ঘরের ভেতর নিয়ে যান। এ সময় ঘটে বাগবিতণ্ডা, ধস্তাধস্তি ও কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা।

ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা। পরে ৬ জুলাই রাতে জেলা পুলিশ ওসি সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে।

এ বিষয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, “ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিঠির ভিত্তিতে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।”

রেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার মিজানুর রহমান জানান, “ওসি সাইফুল নিজেই এসে স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীকে নিয়ে কক্ষ নিয়েছিলেন। পরে কিছু লোক এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।”

এদিকে ওসি সাইফুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি ব্যক্তিগত কাজে যশোরে এসেছিলাম। আমার এক নারী বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রেস্ট হাউসে ছিলাম। কোনো অনৈতিক কিছু ঘটেনি। এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। ছাত্রনেতারা শুধু কথা বলে চলে গেছেন।”

ঘটনার পর ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মনজুর মোর্শেদ বলেন, “তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নারীসহ রেস্ট হাউসে ধরা, প্রত্যাহার ঝিনাইদহের ওসি সাইফুল

আপডেট সময় : ০১:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

যশোরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি রেস্ট হাউসে স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া এ ঘটনার পর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় যশোর পাউবোর পুরনো রেস্ট হাউসের ‘কপোতাক্ষ’ নামক কক্ষে উঠেছিলেন ওসি সাইফুল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে প্রবেশ করেন।

খবর পেয়ে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসান সনি দলবল নিয়ে রেস্ট হাউসে যান। কক্ষের দরজায় ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে ওসি সাইফুল বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদল নেতারা তাকে টেনে-হিঁচড়ে ঘরের ভেতর নিয়ে যান। এ সময় ঘটে বাগবিতণ্ডা, ধস্তাধস্তি ও কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা।

ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা। পরে ৬ জুলাই রাতে জেলা পুলিশ ওসি সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে।

এ বিষয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, “ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিঠির ভিত্তিতে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।”

রেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার মিজানুর রহমান জানান, “ওসি সাইফুল নিজেই এসে স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীকে নিয়ে কক্ষ নিয়েছিলেন। পরে কিছু লোক এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।”

এদিকে ওসি সাইফুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি ব্যক্তিগত কাজে যশোরে এসেছিলাম। আমার এক নারী বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রেস্ট হাউসে ছিলাম। কোনো অনৈতিক কিছু ঘটেনি। এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। ছাত্রনেতারা শুধু কথা বলে চলে গেছেন।”

ঘটনার পর ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মনজুর মোর্শেদ বলেন, “তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”