দক্ষিণাঞ্চলে আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা

- আপডেট সময় : ০৮:৩৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশেষ করে নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও ফেনীর কিছু এলাকায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, যা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও প্রশাসনের মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত দুই সপ্তাহে এই তিন জেলায় করোনা শনাক্তের হার গড়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এতে করে স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি বাড়ছে এবং চিকিৎসা সেবার ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কমে গেছে, মাস্ক পরিধানে অনীহা, জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত চলাফেরা এবং কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ না নেওয়া— এসব কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মাহমুদ হাসান বলেন,
“গত কয়েক দিনে প্রতিদিনই আমরা করোনা উপসর্গ নিয়ে নতুন রোগী পাচ্ছি। অনেকে আবার জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়েও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। পরীক্ষা করলে পজিটিভ ধরা পড়ছে।”
প্রশাসনের পদক্ষেপ
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা আবারও কোভিড সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালু করেছে।
গণপরিবহন, বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে
হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ শুরু হয়েছে
মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. তানভীর হাসান বলেন,
“আমরা পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখছি। প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক লকডাউন বা চলাচল সীমিত করার মতো পদক্ষেপও নেওয়া হবে।”
আবার টিকা নেওয়ার আহ্বান
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যাদের এখনো বুস্টার ডোজ নেওয়া হয়নি, তাদের দ্রুত তা গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি, যেসব নাগরিক এখনো কোনো ডোজ নেননি, তাদেরও অবিলম্বে টিকা নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন,
“করোনাকে অবহেলা করার সুযোগ নেই। সংক্রমণ বাড়ছে মানেই হুমকি বাড়ছে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব