ডেঙ্গুর ৩ ধরণ: কখন করবেন টেস্ট, আর কখন ছুটবেন হাসপাতালে?

- আপডেট সময় : ০১:০৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে
ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব এখন চরমে। বর্ষা মৌসুমে, বিশেষ করে জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং উপেক্ষা করলে মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই শরীরে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো ও সঠিক চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
✅ কোন লক্ষণ দেখলে দ্রুত ডেঙ্গু টেস্ট করবেন?
১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি জ্বর
চোখের পেছনে ব্যথা
মাথা ব্যথা ও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা
হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা
চামড়ার নিচে লালচে র্যাশ
ঘন ঘন বমি
পেট ব্যথা বা অস্বস্তি
প্রস্রাব কম হওয়া বা একদম না হওয়া
রক্তচাপ কমে যাওয়া
নিস্তেজ বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
উপরের যেকোনো উপসর্গ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডেঙ্গু টেস্ট করান।
🏥 কখন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন?
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত তিনটি ধরণে (ক্যাটাগরি) ভাগ করা হয়:
১️⃣ ‘এ’ ক্যাটাগরি – সাধারণ ডেঙ্গু:
শুধুমাত্র জ্বর থাকে, জটিলতা নেই
এমন রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই
ঘরে বিশ্রাম, প্রচুর পানি পান এবং প্যারাসিটামল গ্রহণেই ভালো হয়ে যান
2️⃣ ‘বি’ ক্যাটাগরি – ঝুঁকিপূর্ণ ডেঙ্গু:
পেট ব্যথা, বমি, রক্তস্বল্পতা, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, অন্তঃসত্ত্বা নারী, কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত
নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন
3️⃣ ‘সি’ ক্যাটাগরি – জটিল ডেঙ্গু:
লিভার, কিডনি, মস্তিষ্কের জটিলতা দেখা দেয়
রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যেতে পারে
আইসিইউ বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা আবশ্যক
📝 চিকিৎসকের পরামর্শ:
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক চিকিৎসা শুরু করা গেলে ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব। তবে দেরি হলে এটি হয়ে উঠতে পারে জীবনঘাতী।
🔍 সতর্কতা:
অ্যান্টিবায়োটিক নয়, বরং প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করুন
অপ্রয়োজনে ব্যথানাশক (NSAIDs) ব্যবহার করবেন না, কারণ এটি রক্তপাত বাড়িয়ে দিতে পারে
শরীরচর্চা বা ভারী কাজ এড়িয়ে চলুন
মশা যেন কামড়াতে না পারে, সেজন্য মশারি বা রিপেলেন্ট ব্যবহার করুন
সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন — ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব।
শরীরে উপসর্গ বুঝে দ্রুত পদক্ষেপ নিন, জীবন বাঁচান।