গাজায় মার্কিন আটার বস্তায় মাদক পাওয়ার অভিযোগ, ইসরায়েলকে দায়ী করল ফিলিস্তিন

- আপডেট সময় : ১২:৫০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দাবি, ইসরায়েলের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে মাদক বড়ি পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৭ জুন) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সহায়তা কেন্দ্র থেকে বিতরণকৃত আটার বস্তার ভেতর পাওয়া গেছে প্রেসক্রিপশন-নির্ভর ব্যথানাশক ওষুধ ‘অক্সিকোডোন’।
তাদের দাবি, মাদকের বড়িগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে গুঁড়ো করে আটার সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হতে পারে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করেছে।
গাজার মিডিয়া অফিস একে “নৃশংস অপরাধ” উল্লেখ করে এর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। তারা বলছে, ফিলিস্তিনি সমাজে মাদক ছড়িয়ে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে সামাজিক অবক্ষয় ঘটানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “এটি ইসরায়েলের গণহত্যার ধারাবাহিকতা এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে একটি নোংরা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। মাদককে এখানে ‘নরম অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”
ইসরায়েল ইতোমধ্যে গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে চারটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে, যার উদ্দেশ্য হিসেবে অনেকেই দেখছেন গাজার উত্তরের বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়ার একটি কৌশল। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে। তাদের মতে, এটি জাতিসংঘের সহায়তা ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ও খাদ্যবাহী জাতিসংঘের ট্রাকের আশেপাশে ইসরায়েলি গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৪৯ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজারের বেশি মানুষ।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ হাজার ৩০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এর আগে, গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।