গাজায় বন্দি মুক্তির দাবিতে তেল আবিবে ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ পুনরায় শুরু

- আপডেট সময় : ১২:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে
তিন সপ্তাহ বিরতির পর আবারও গাজায় বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন ইসরায়েলিরা। শনিবার (২৮ জুন) রাতে তেল আবিবের ‘হোস্টেজ স্কোয়ার’ এবং ‘বেগিন রোড’ এলাকায় হাজারো মানুষ সমবেত হন। তারা যুদ্ধবিরতির পক্ষে এবং বন্দি মুক্তির চুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে সাপ্তাহিক বিক্ষোভ পুনরায় শুরু করেন।
চলমান আলোচনার প্রেক্ষাপটে ধারণা করা হচ্ছে, জেরুজালেম ও ওয়াশিংটন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গাজা যুদ্ধ শেষ করতে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে, যার আওতায় হামাসের হাতে থাকা অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলিকে মুক্ত করা সম্ভব হবে। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলি সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
এর আগের দিন, শুক্রবার (২৭ জুন) সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি আশা করছেন ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যেই’ একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন হতে পারে।
বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হয়ে আবেগঘন বক্তব্য দেন হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়া ইসরায়েলি সেনা লিরি আলবাগ। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে হওয়া অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যিনি পাঁচ বন্দির মধ্যে একজন হিসেবে মুক্তি পান। প্রায় দুই হাজার মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানান, যেন ইরানের বিরুদ্ধে নেওয়া ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’-এর মতোই সাহসিকতা দেখিয়ে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে বাকি বন্দিদের ফিরিয়ে আনা হয়।
লিরি আলবাগ বলেন, “গত দুই সপ্তাহে সব আলোচনার কেন্দ্র ছিল ইরান। অথচ আমার ভাই-বোনেরা এখনো বন্দি অবস্থায়, তাদের কথা যেন সবাই ভুলে গেছে।” তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি মুহূর্ত ছিল দীর্ঘশ্বাসে মোড়া। দিনে এক চতুর্থাংশ রুটি, একটি খেজুর ও আধা বাটি ভাতেই চলতে হতো। ফিলিস্তিনি পোশাক পরিয়ে আমাদের রাস্তায় হাঁটানো হতো, পরে গোপন খাঁচার মতো জায়গায় আটকে রাখা হতো, যেখানে দাঁড়ানোও যেত না।”
আলবাগ সরাসরি নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা ইরান ইস্যুতে সাহস দেখিয়েছেন, এখন গাজা যুদ্ধ থামিয়ে আমাদের সবাইকে ফিরিয়ে আনার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নিন। কারণ এটি আমাদের জাতীয় নৈতিক দায়িত্ব।”
উল্লেখ্য, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধ গত ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শেষ হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই যুদ্ধের অবসান ইস্যুটি গাজা যুদ্ধ ও বন্দি মুক্তির আলোচনাকে কিছুটা আড়াল করে ফেলেছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা।