খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি, পাহাড়ধস ও বন্যার শঙ্কায় হাজারো মানুষ

- আপডেট সময় : ০৪:১৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে কয়েকদিন ধরে টানা ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে জেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল ও ছড়ার পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে তৈরি হয়েছে পাহাড়ধস ও আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা।
বুধবার (৯ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার প্রধান দুটি নদী চেঙ্গি ও মাইনী নদীর পানি ক্রমাগত বাড়ছে এবং নিচু এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, শালবাগানসহ বেশ কিছু এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,
“টানা বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বাড়ার পাশাপাশি পাহাড়ধসের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
🔸 বন্যার আশঙ্কা
চেঙ্গি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, যা ইতোমধ্যে মুসলিমপাড়া, শালবাগানসহ নিচু এলাকাগুলোতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলার বড় মেরুং এলাকার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মাইনী নদীর পানি বেড়ে স্টিল ব্রিজ এলাকার সড়কে পানি উঠে গেছে, যার ফলে সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে।
🔸 পাহাড়ধসের ঝুঁকি
সদর উপজেলার শালবাগান, কলাবাগান ও সবুজবাগ এলাকার অন্তত ৩ থেকে ৪ শতাধিক পরিবার পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। ইউএনও সুজন চন্দ্র রায় জানান,
“ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে শালবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশু প্রাইমারি স্কুলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার করা হবে।”
🔸 প্রস্তুত প্রশাসন
পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। পাহাড়ধস বা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
জেলার বিভিন্ন স্থানে সচেতনতা প্রচার চালানো হচ্ছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ ও সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
✅ প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে প্রয়োজন ছাড়া পাহাড়ি এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
📌 খাগড়াছড়িতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।