সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের শঙ্কা: প্রশাসনের সতর্কতামূলক অভিযান অব্যাহত

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে


টানা বর্ষণে পাহাড়ধসের ঝুঁকি বাড়ায় খাগড়াছড়ি জেলা শহর ও আশপাশের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে সতর্কতামূলক অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় কোথাও কোথাও ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল শহরের শালবন, কলাবাগানসহ বিভিন্ন পাহাড়ি বসতি এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়, পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

পরিদর্শনে জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায়, সহকারী কমিশনারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। স্থানীয়দের সচেতন করতে হ্যান্ড মাইক ব্যবহার ও সরকারি হেল্পলাইন ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগের তথ্য প্রচার করা হয়।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মাইকিং কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ বলেন, “পাহাড়ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। তবে জনগণের সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আমরা অনুরোধ করছি—কেউ যেন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অবস্থান না করেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে, প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় সেখানে আশ্রয় নেওয়া যাবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের শঙ্কা: প্রশাসনের সতর্কতামূলক অভিযান অব্যাহত

আপডেট সময় : ০১:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫


টানা বর্ষণে পাহাড়ধসের ঝুঁকি বাড়ায় খাগড়াছড়ি জেলা শহর ও আশপাশের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে সতর্কতামূলক অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় কোথাও কোথাও ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল শহরের শালবন, কলাবাগানসহ বিভিন্ন পাহাড়ি বসতি এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়, পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

পরিদর্শনে জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায়, সহকারী কমিশনারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। স্থানীয়দের সচেতন করতে হ্যান্ড মাইক ব্যবহার ও সরকারি হেল্পলাইন ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগের তথ্য প্রচার করা হয়।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মাইকিং কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ বলেন, “পাহাড়ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। তবে জনগণের সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আমরা অনুরোধ করছি—কেউ যেন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অবস্থান না করেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে, প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় সেখানে আশ্রয় নেওয়া যাবে।”