কোরবানিকে সামনে রেখে জমে উঠেছে গবাদি পশুর বেচাকেনা

- আপডেট সময় : ০১:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ঢাকার আশপাশের খামারগুলোতে গবাদি পশুর বেচাকেনা এখন তুঙ্গে। অনেক ক্রেতা আগেভাগেই তাদের পছন্দের গরু কিনে খামারেই রেখে দিচ্ছেন, যেগুলো ঈদের দিন সকালে ডেলিভারি নেওয়া হবে। এতে একদিকে যেমন গরু কেনার চাপ কমছে, অন্যদিকে সময়মতো নির্ভরযোগ্য সরবরাহ নিশ্চিত হচ্ছে।
এমন একটি খামার রাজধানীর অদূরে চারাবাগ এলাকায় অবস্থিত, যেখানে প্রতিদিনই অনলাইন ও সরাসরি উপস্থিত হয়ে গরু কেনাবেচা হচ্ছে। ঢাকার ক্রেতারাই এখানে প্রধান হওয়ায় রাজধানীতেই গরুর অর্ডার ও বুকিং নেওয়ার জন্য আলাদা একটি অফিস চালু রয়েছে।
খামার কর্তৃপক্ষ জানান, প্রাথমিকভাবে শখের বসে পশু পালনের যাত্রা শুরু হলেও এখন এটি একটি বাণিজ্যিক খাতে রূপ নিয়েছে। এতে করে শুধু নিজে আত্মতৃপ্তি পাচ্ছেন না, অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও নিশ্চিত হয়েছে। এখানে গরু বিক্রি হচ্ছে লাইভ ওয়েট স্কেলে—প্রতি কেজি ৫২৫ থেকে ৬০০ টাকা দরে। ফলে ওজনে ঠকানোর সুযোগ নেই বললেই চলে।
খামারে সবধরনের ক্রেতার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন আকারের গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। মধ্যবিত্তদের জন্য যেমন তুলনামূলক ছোট ও সাশ্রয়ী দামের গরু রয়েছে, তেমনি আর্থিকভাবে সচ্ছল ক্রেতাদের জন্য বড় আকারের গরুও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখানে গরুর দাম শুরু হয়েছে এক লাখ টাকা থেকে, যা আট লাখ টাকাও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ ও নরসিংদীসহ ঢাকার আশপাশের এলাকায় অনেক খামার গড়ে উঠেছে। এমনকি রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মাদারটেক, মান্ডা ও কাজলার পাড় এলাকায়ও বাণিজ্যিকভাবে গবাদি পশু লালন-পালন করা হচ্ছে।
স্থানীয় খামার ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর তুলনামূলকভাবে আগেই গরু ও ছাগলের বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বেচাকেনা আরও জমে উঠছে। অনেকেই সরেজমিনে গিয়ে গরু দেখে অগ্রিম বুকিং দিয়ে আসছেন।