সর্বশেষ
বিশ্ব মঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘মানবপুতুল’ নৃত্য: ওসাকা এক্সপোতে যাচ্ছে ক্ষুদে শিল্পীরা পদ্মার ইলিশ কোথায় হারাল? স্বাদের রাজা এখন নাগালের বাইরে জোঁকের তেল: গোপন শক্তি না গোপন বিপদ? কী বলছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? “বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? জেনে নিন চূড়ান্ত আত্মবিশ্লেষণের ৬টি দিক” আজ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিএমপির ডাইভারশন নির্দেশনা—এড়িয়ে চলুন এই সড়কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক ভিসায় নতুন শর্ত: আবেদনেই জমা দিতে হতে পারে ১৮ লাখ টাকার বন্ড টাঙ্গাইলে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর ফজলে এলাহী গ্রেফতার বিয়ে ছিল ফাঁদ! ৮ স্বামীকে ফাঁসিয়ে কোটি টাকা হাতানো সামিরা নবম বিয়ের আগেই গ্রেপ্তার প্রেমের ফাঁদে চা, তারপর অজ্ঞান! পাত্রী গ্রেপ্তার, জব্দ হওয়া মোবাইল গেল বাংলাদেশে

‘কবজিকাটা গ্রুপ’-এর শীর্ষ সন্ত্রাসীর সহযোগী টুন্ডা বাবু কারাগারে, রোববার রিমান্ড চায় পুলিশ

প্রতিবাদী কণ্ঠ
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে


রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করা আলোচিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘কবজিকাটা গ্রুপ’-এর অন্যতম সদস্য মো. বাবু খান ওরফে টুন্ডা বাবুকে (৩১) গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। র‌্যাব-২-এর অভিযানে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া বলেন, “বাবু খানের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মারামারি, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরিসহ মোট নয়টি মামলা রয়েছে। আমরা আগামী রোববার দুটি মামলায় তাঁর রিমান্ড আবেদন করব।”

সন্ত্রাস-ছিনতাইয়ে সক্রিয় ‘কবজিকাটা’ বাহিনীর অন্যতম সদস্য

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, বাবু খান মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিতেন এবং ‘কবজিকাটা’ আনোয়ার নামে পরিচিত শীর্ষ সন্ত্রাসীর প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ও তাঁর গ্যাং সদস্যরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন।

র‌্যাব জানায়, দিনের বেলায় তাঁরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কম জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় ঘোরাফেরা করতেন এবং পথচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা, মুঠোফোন, ব্যাগ, ল্যাপটপসহ মূল্যবান জিনিস ছিনতাই করতেন। রাতে বাসা বা ফ্ল্যাটে ঢুকে এবং চলন্ত গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করতেন।

আবারও সন্ত্রাসে ফিরেছিলেন জামিনে বের হয়ে

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শ্যামলীর ২ নম্বর প্রজেক্ট এলাকায় বাবু খানকে ধারালো অস্ত্র হাতে দেখা যায়। কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে তাঁর উপস্থিতির একটি সিসিটিভি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ঘটনার জেরে ২৪ ফেব্রুয়ারি র‍্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ৫ মে জামিনে মুক্তি পান। তবে জামিনে বেরিয়ে তিনি পুনরায় আগের মতোই অপরাধে লিপ্ত হন বলে র‍্যাবের ভাষ্য।

অভিযানে একাধিক গ্যাং নেতা গ্রেপ্তার

সম্প্রতি মোহাম্মদপুরে র‍্যাব-২-এর বিশেষ অভিযানে মাদক ও সন্ত্রাসে জড়িত একাধিক গ্যাং নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, কবজিকাটা গ্রুপের প্রধান মো. আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার, চুয়া সেলিম গ্রুপের প্রধান মো. সেলিম আশরাফী ওরফে চুয়া সেলিম ওরফে চোরা সেলিম, এবং ভূঁইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল।

সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টার্গেটে রয়েছে মোহাম্মদপুর এলাকার সক্রিয় কিশোর গ্যাংগুলো এবং তাদের পেছনে থাকা পেশাদার অপরাধীরা। এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গোটা চক্রকে চিহ্নিত করে একে একে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

‘কবজিকাটা গ্রুপ’-এর শীর্ষ সন্ত্রাসীর সহযোগী টুন্ডা বাবু কারাগারে, রোববার রিমান্ড চায় পুলিশ

আপডেট সময় : ০৩:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫


রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করা আলোচিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘কবজিকাটা গ্রুপ’-এর অন্যতম সদস্য মো. বাবু খান ওরফে টুন্ডা বাবুকে (৩১) গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। র‌্যাব-২-এর অভিযানে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া বলেন, “বাবু খানের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মারামারি, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরিসহ মোট নয়টি মামলা রয়েছে। আমরা আগামী রোববার দুটি মামলায় তাঁর রিমান্ড আবেদন করব।”

সন্ত্রাস-ছিনতাইয়ে সক্রিয় ‘কবজিকাটা’ বাহিনীর অন্যতম সদস্য

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, বাবু খান মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিতেন এবং ‘কবজিকাটা’ আনোয়ার নামে পরিচিত শীর্ষ সন্ত্রাসীর প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ও তাঁর গ্যাং সদস্যরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন।

র‌্যাব জানায়, দিনের বেলায় তাঁরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কম জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় ঘোরাফেরা করতেন এবং পথচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা, মুঠোফোন, ব্যাগ, ল্যাপটপসহ মূল্যবান জিনিস ছিনতাই করতেন। রাতে বাসা বা ফ্ল্যাটে ঢুকে এবং চলন্ত গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করতেন।

আবারও সন্ত্রাসে ফিরেছিলেন জামিনে বের হয়ে

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শ্যামলীর ২ নম্বর প্রজেক্ট এলাকায় বাবু খানকে ধারালো অস্ত্র হাতে দেখা যায়। কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে তাঁর উপস্থিতির একটি সিসিটিভি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ঘটনার জেরে ২৪ ফেব্রুয়ারি র‍্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ৫ মে জামিনে মুক্তি পান। তবে জামিনে বেরিয়ে তিনি পুনরায় আগের মতোই অপরাধে লিপ্ত হন বলে র‍্যাবের ভাষ্য।

অভিযানে একাধিক গ্যাং নেতা গ্রেপ্তার

সম্প্রতি মোহাম্মদপুরে র‍্যাব-২-এর বিশেষ অভিযানে মাদক ও সন্ত্রাসে জড়িত একাধিক গ্যাং নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, কবজিকাটা গ্রুপের প্রধান মো. আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার, চুয়া সেলিম গ্রুপের প্রধান মো. সেলিম আশরাফী ওরফে চুয়া সেলিম ওরফে চোরা সেলিম, এবং ভূঁইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল।

সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টার্গেটে রয়েছে মোহাম্মদপুর এলাকার সক্রিয় কিশোর গ্যাংগুলো এবং তাদের পেছনে থাকা পেশাদার অপরাধীরা। এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গোটা চক্রকে চিহ্নিত করে একে একে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।