কক্সবাজারে পর্যটন মৌসুমের উন্মাদনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

- আপডেট সময় : ০৮:২৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫ ৪২ বার পড়া হয়েছে
গরমের ছুটি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল নামে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে সমুদ্রের তাজা বাতাসে মন মেলাতে ছুটে আসছেন এখানে। তাই এ বছরও কক্সবাজারে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজে।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ
পর্যটকদের সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় জেলার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পটগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহল দিচ্ছে। বিশেষ করে সৈকত এলাকা, রেস্টুরেন্ট, হোটেল ও রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও পর্যটকদের সঙ্গে সদয় ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে পর্যটন কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সচেতনতা অভিযান
করোনা মহামারীর প্রভাব এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে না পারায় প্রশাসন পর্যটকদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজারের ব্যবহার ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে সৈকত এলাকা ও জনসমাগম স্থলে নিয়মিত স্বাস্থ্য চেকিং, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ এবং মাস্ক পরার প্রতি গুরুত্বারোপ করছে। এতে করোনা সংক্রমণ কমিয়ে পর্যটন মৌসুম নির্বিঘ্নে কাটানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে।
ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের প্রস্তুতি
পর্যটন মৌসুমের কারণে কক্সবাজারের হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নতুন কর্মী নিয়োগ, পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় সরবরাহ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ব্যাপারে সকলের সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা পর্যটকদের আতিথেয়তায় আন্তরিকতা প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের এই সুন্দর প্রকৃতির বিনোদনকেন্দ্রে সবাই যেন নিরাপদে ও আনন্দের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে, সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
পর্যটন শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব
কক্সবাজারে পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ায় জেলা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পর্যটন খাতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত হাজার হাজার মানুষ মৌসুমে উপার্জন বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন। জেলা প্রশাসনও পর্যটন শিল্পকে সচল রাখতে এবং পর্যটকদের সুরক্ষায় ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
সর্বশেষ অবস্থা:
পর্যটন মৌসুমের শুরুতে পর্যটকদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় কক্সবাজার পর্যটন কেন্দ্রগুলো এখন পরিপূর্ণ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা পরিস্থিতিতে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এবারের গরমের ছুটির সময় কক্সবাজার আনন্দ ও স্বস্তির ঠিকানা হয়ে থাকবে।