ইসরায়েলের দখলে গাজার অধিকাংশ অঞ্চল

- আপডেট সময় : ০৯:১৩:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী এরই মধ্যে গাজা উপত্যকার প্রায় ৭৭ শতাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে। সামরিক বাহিনী অঞ্চলগুলো দখল করছে বিভিন্ন কৌশলে—স্থল অভিযান, বেসামরিক মানুষদের স্থানত্যাগে বাধ্য করা এবং লাগাতার বিমান হামলার মাধ্যমে।
রবিবার হামাস ও ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠী জানিয়েছে, তারা গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে বোমা, ট্যাংক ধ্বংসকারী রকেট এবং গোপন অভিযান।
সর্বশেষ এক ঘটনায়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার একটি স্কুল-ভিত্তিক আশ্রয়কেন্দ্রে বিমান হামলা চালায়, যেখানে অন্তত ২৬ জন প্রাণ হারায়। নিহতদের মধ্যে রয়েছে একাধিক শিশু। একই সময়, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে, যদিও ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে তারা হামলাটি প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩,৯৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১,২২,৭৯৭ জন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের হিসেবে, ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ চাপা পড়ে থাকায় প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ হারায় ১,১৩৯ জন, এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে, স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ২০টি ইউরোপীয় ও আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে স্পেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান চুক্তিগুলো স্থগিত করে এবং ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে জোরালো কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
স্পেন দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করেছে—ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি এখন সময়ের দাবি।